NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব ভারতের


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:৪২ এএম

>
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব ভারতের

প্রবণ বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের জেরে বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এছাড়া নতুন করে টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তৎপরতায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। রোববার (১৯ জুন) সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠকে এই প্রস্তাব দেয় প্রতিবেশী দেশটি। সোমবার (২০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।

রোববার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত সম্পর্কের সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোচনা হওয়া জেসিসি বৈঠকে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেন।

মোমেন-জয়শঙ্কর অভিন্ন নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করার পাশাপাশি একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হন।

ট্রিবিউন ইন্ডিয়া বলছে, সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠকের উদ্বোধনী বক্তব্যে বন্যা ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ তৎপরতায় বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমরা সহায়তা করতে পারলে খুব খুশি হবো। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নজিরবিহীন বন্যায় আমরা আমাদের সমর্থন ও সংহতি জানাতে চাই। আমাদের উত্তর-পূর্বেও এই বন্যা চলছে।’

তিনি উল্লেখ করেন, উভয় দেশই এখন বর্ধিত সময়ের জন্য বন্যা-ব্যবস্থাপনার তথ্য একে অপরের সঙ্গে আদান-প্রদান করছে। এর পাশাপাশি উভয় পক্ষই এখন বিদ্যমান ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপস এবং ফিনটেকে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।

গত বছর ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফর করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরকালে যেসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে তার অনেকগুলো বিষয় অমীমাংসিত বা আটকে আছে।

বৈঠকে সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছিলেন। সেখানেও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর অগ্রগতি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। এছাড়া ওই বছর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জেসিসি বৈঠকেও নেওয়া অমীমাংসিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়া করোনা মহামারি সত্ত্বেও উভয় দেশ নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পারস্পরিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহসহ প্রতিটি খাতে দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মোমেন-জয়শঙ্কর। মহামারির লড়াইয়ে দু’দেশের যৌথ প্রচেষ্টার প্রশংসাও করেন তারা।