NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

উইলিয়ামের মারধরের শিকার হয়েছিলেন, নতুন বইয়ে বললেন প্রিন্স হ্যারি


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৮:৪১ এএম

>
উইলিয়ামের মারধরের শিকার হয়েছিলেন, নতুন বইয়ে বললেন প্রিন্স হ্যারি

ব্রিটেনের প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ার’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। এই বইয়ে ব্রিটিশ রাজপরিবার ছেড়ে আসা প্রিন্স হ্যারি তার ভাই প্রিন্স উইলিয়ামের বিরুদ্ধে হাতাহাতির অভিযোগ করেছেন। ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান এই বইয়ের একটি কপি হাতে পেয়েছে। বইটিতে মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মের্কেলকে বিয়ে করা নিয়ে প্রিন্স উইলিয়ামের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন হ্যারি।

বইটিতে প্রিন্স হ্যারি বলেছেন, প্রিন্স উইলিয়াম আমার কলার চেপে ধরে গলার চেইন ছিঁড়ে ফেলেছিলেন এবং আমাকে মেঝেতে ফেলে দিয়েছিলেন। আত্মজীবনীতে প্রিন্স হ্যারি অভিনেত্রী মেগান মের্কেলকে বিয়ে করায় দুই ভাইয়ের সম্পর্ক ভেঙে যায় বলেও উল্লেখ করেছেন। তবে কেনসিংটন প্যালেস বলেছে, এই মুহূর্তে এটি নিয়ে কোনও মন্তব্য করার নেই।

এদিকে, আইটিভির টম ব্র্যাডবির সাথে প্রিন্স হ্যারির সাক্ষাৎকারের একটি নতুন ক্লিপ প্রকাশিত হয়েছে। রাজপরিবারের সাথে চলমান বিবাদ প্রসঙ্গে ডিউক বলেছেন, বল এখন তাদের কোর্টে রয়েছে। তিনি মে মাসে ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও রাজি ছিলেন না।

তবে বিবিসি বলছে, হ্যারির স্মৃতিকথামূলক বইটি আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, কঠোর প্রাক-প্রকাশনা নিরাপত্তা পেরিয়ে তাদের হাতে এই বইয়ের একটি অনুলিপি পৌঁছেছে।

গার্ডিয়ানের মতে বইটিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে লন্ডনের বাড়িতে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মের্কেলকে নিয়ে প্রিন্স উইলিয়ামের করা মন্তব্যের জেরে তাদের মাঝে বিবাদের সূত্রপাত হয়।

ব্রিটিশ এই দৈনিক বলেছে, প্রিন্স হ্যারি লিখেছেন, তার ভাই প্রিন্স উইলিয়াম মেগান মের্কেলের সাথে তার বিয়ের ঘোর বিরোধী ছিলেন। প্রিন্স উইলিয়াম মেগানকে ‘বাজে’, ‘অভদ্র’ এবং ‘বেপরোয়া’ স্বভাবের বলে মন্তব্য করেছিলেন।

ডিউক অব সাসেক্স লিখেছেন, তার ভাই তোতা পাখির মতো বারবার এসব মন্তব্য করেছিলেন; যা উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তোলে।

বইটিতে প্রিন্স হ্যারি তার ভাইয়ের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শারীরিক সংঘাতে রূপ নেয় বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘প্রিন্স উইলিয়াম তার হাতে থাকা পানির গ্লাস রেখে আমাকে অন্য একটি নাম ধরে ডাকলেন। তারপর আমার দিকে এলেন। সবকিছু দ্রুত ঘটেছিল। অত্যন্ত দ্রুত।’

‘তিনি আমার কলার ধরে ফেললেন, আমার গলার চেইনটি ছিঁড়লেন এবং আমাকে ধাক্কা মেরে মেঝেতে ফেলে দিলেন।’

‘আমি কুকুরের খাবারের বাটিতে পড়ে গেলাম। বাটিটি আমার পিঠের নিচে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। এতে আমার শরীর কেটে গেল। আমি কিছুক্ষণ সেখানে অবাক-বিস্ময়ে পড়ে থাকলাম। এই ঘটনায় হতবাক হয়ে গেলাম। তারপর দাঁড়িয়ে আমি তাকে তাকে বের হয়ে যেতে বললাম।’

গার্ডিয়ানের মার্কিন ওয়েবসাইটের সাংবাদিক মার্টিন পেঙ্গেলি প্রিন্স হ্যারির আত্মজীবনী নিয়ে সংবাদ লিখেছেন। তবে বইটি নিয়ে তিনি প্রিন্স উইলিয়ামের কমিউনিকেশন দলের সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করেননি বলে জানিয়েছেন।

এই সাংবাদিক বলেছেন, ‘তার নিবন্ধটি হ্যারির বইয়ের একটি প্রতিবেদন; যা তিনি লিখেছেন। বইটি হ্যারির স্বীকারোক্তি।’

বিবিসি রেডিও ৫ লাইভকে পেঙ্গেলি বলেছেন, আমরা প্রতিবেদন তৈরির সময় সাবধানতা অবলম্বন করেছি। প্রতিবেদনে আমরা পরিষ্কারভাবেই ব্রিটিশ রাজপরিবারের দুই ভাইয়ের বিবাদকে ‘লড়াই’ বলিনি। কারণ হ্যারি বলেছেন, তিনি লড়াই করেননি।