NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

অগ্নিপথের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিহার, বাস-ট্রেনে আগুন


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:৪৩ এএম

>
অগ্নিপথের বিক্ষোভে উত্তপ্ত বিহার, বাস-ট্রেনে আগুন

ভারতে অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আজ শনিবারও চলছে। যত সময় যাচ্ছে বিহারের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিহারের ১২ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

বিহারের জেহানাবাদে বাস, লরিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল মারা হয়েছে। অগ্নিপথ নামের এই প্রকল্পের প্রতিবাদে বিহারে বন্ধ চলছে। অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে চলছে ২৪ ঘণ্টার এই কর্মসূচি। বিহারের সমস্ত বিরোধী দল এই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে।  

আন্দোলনকারীরা বিহারের বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছেন, ট্রেনে আগুন দিচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় জনতা দল, হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টির মতো দলগুলোর এই কর্মসূচিতে সমর্থন রয়েছে। 

এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিহারের ১২টি জেলায় ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। কোথাও কোথাও ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। 

কেবল বিহারেই নয় অগ্নিপথ প্রকল্প ঘোষণা করে আরও রাজ্যে বিক্ষোভের মুখে পড়েছে ভারত সরকার। রেল অবরোধ, ট্রেনে আগুন, ভাঙচুর হয়েছে। 

সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে আধুনিকীকরণের স্বার্থে এই প্রকল্প। সেনাবাহিনীতে অস্থায়ীভাবে ৪ বছরের জন্য কর্মী নিয়োগ করা হবে এ প্রকল্পের আওতায়; যাদের ‘অগ্নিবীর’ বলা হবে। বর্তমানে ভারতীয় সেনার গড় বয়স ৩২ বছর। অগ্নিপথ প্রকল্প কার্যকর হলে এক ধাক্কায় তা ২৬ বছর হয়ে যাবে। প্রথমে নিয়োগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৭ বছর ও সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছর করা হয়েছিল। বিক্ষোভের জেরে  বয়সের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ২৩ বছর করা হয়েছে। চার বছর পর ২৫ শতাংশের বেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণের চাকরি স্থায়ী করা হবে না। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বেতন পাবেন অগ্নিবীররা। চার বছর পরে ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা এককালীন অর্থ দেওয়া হবে। যা হবে সম্পূর্ণ করমুক্ত। 

বিশ্বের আরও অনেক দেশে এ পদ্ধতিতে সেনা নিয়োগ করা হয়ে থাকে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজ বলছে, মার্কিন সেনাতেও এই অস্থায়ী নিয়োগের পদ্ধতি রয়েছে। সেখানে মূলত চার বছরের জন্য এভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে আরও চার বছর অতিরিক্ত সময় কাজে লাগানো হয়। অবসরের পরও, তারা পূর্ণ মেয়াদের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। ২০ বছর চাকরি করলে পেনশনসহ অন্যান্য সুবিধা পান। 

একইভাবে নিয়োগ দেওয়ার চল রয়েছে চীন, রাশিয়া ও ইজরায়েলেও।  

বিহারের স্টেশন থেকে ৩ লাখ টাকা লুট 
আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিহারের বিহিয়া রেল স্টেশন থেকে আন্দোলনকারীরা ৩ লাখ টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।  

এ দিকে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভ থেকে ২৬০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আন্দোলন হয়েছে ওড়িশাতেও। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটা বড় অংশ দাবি করেছে, তারা ইতোমধ্যে শারিরীক পরীক্ষায় ঊত্তীর্ণ হয়েছে, এখন লিখিত পরীক্ষার অপেক্ষা করছেন। সেই পরিস্থিতিতে এই নতুন নির্দেশনামা তাদের প্রভাবিত করতে পারে।  

এর আগে বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়েও ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল মোদি সরকারকে।