NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

দেশ লজ্জায় পড়ে এমন কাজ করিনি, করব না : প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:২৪ পিএম

দেশ লজ্জায় পড়ে এমন কাজ করিনি, করব না : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা-মা, ভাই-বোনসহ পরিবারের সব সদস্যকে হত্যার পরও আমি বিচার চাইতে পারিনি। সেই হারানোর বেদনাকে সম্বল করেই কিন্তু এদেশে এসেছি, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্য। এখানে দুর্নীতি করে পয়সা বানাব, নিজের জীবন মান নিয়ে থাকব, এর জন্য তো আসিনি। আমার মতো বিচারহীনতার কষ্ট যেন আর কেউ না পায়।

 

 

আজ রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা  জানান।

পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তত এটুকু দাবি করতে পারি, বাংলাদেশের মানুষের মাথা নিচু হোক, মুখ ছোট হোক, বাংলাদেশ কোথাও লজ্জায় পড়ে, অন্তত আমি বা আমার পরিবার, আমরা কেউ এ ধরনের কাজ করিনি, করব না। দেশকে ভালোবাসি, দেশের মানুষকে ভালোবাসি।

তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ফেডারেল কোর্ট কানাডা রায় দিয়েছে। এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্ব ব্যাংকের সমস্ত অভিযোগ ভুয়া ও মিথ্যা।

জিয়াউর রহমানের ইনডেমনিটি আইনের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাবা-মা, ভাইবোন মারা গেলেন, আর আমি বিচার চাইতে পারবো না। অথচ তাদেরই অনেকে বিচারের ধারক-বাহক বলে। এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যেন আর না পড়ে। দেশে আইনের শাসন থাকবে। মানুষ ন্যায়বিচার পাবে। বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে।

তিনি বলেন, আমি এটুকুই বলবো যে, আমাদের আইনজীবীরা অপরিহার্য আমাদের জন্য। কাজেই আইনজীবীদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে, তারা যেন তাদের মেধা, প্রতিভা, সততা, আন্তরিকতা দিয়ে বিচারপ্রার্থীদের দ্রুত ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সহায়তা করেন।

আদালতের স্বাধীনতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব সময় প্রচেষ্টা ছিল যে, সর্বোচ্চ আদালত স্বাধীনভাবে চলবে। এর আর্থিক ব্যবস্থাপনা আগে ছিল সরকার প্রধানের হাতে সেটা কিন্তু সম্পূর্ণভাবে আমরা সুপ্রিম কোর্টের হাতে দিয়ে দিই। আলাদা বাজেট বরাদ্দ দিই, সঙ্গে আমাদের বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ সেটাও আমরা কার্যকর করে নীতিমালা প্রণয়নের ব্যবস্থা করি। স্থায়ী আইন কমিশন গঠন করি।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক প্রমুখ।