NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

সংবাদ এড়িয়ে চলা মানুষ বাড়ছে, কমছে আস্থাও


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:১৩ এএম

সংবাদ এড়িয়ে চলা মানুষ বাড়ছে, কমছে আস্থাও

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বেছে বেছে গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে না চাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। সচেতনভাবেই তারা সেসব খবর এড়িয়ে যাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতি তাদের আস্থাও দিন দিন কমছে। মঙ্গলবার প্রকাশিত বার্ষিক ডিজিটাল নিউজ রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেখানে দেখা যায়, কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন বা জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়া বিষয়ক খবর বেশিরভাগ মানুষই এখন আর জানতে চায় না। এসব খবর এড়িয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব জার্নালিজম ওই জরিপ পরিচালনা করে। জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষই বলেছেন, তারা সংবাদ পড়েন। তবে তাদের ৩৮ শতাংশ বলেছেন, প্রায়ই কিংবা মাঝে মাঝে তারা সংবাদ এড়িয়েও যান। ২০১৭ সালে এ ধরনের মানুষের সংখ্যা ছিল ২৯ শতাংশ। বিশেষ করে ৩৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৩৬ শতাংশই বলেছেন, সংবাদ তাদের মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। মানসিকভাবে তারা দুর্বল ‍অনুভব করেন।

সংবাদের প্রতি মানুষের আস্থাও কমছে। যুক্তরাষ্ট্রের মানুষদের সংবাদের প্রতি আস্থা সবচেয়ে কম। জরিপে অংশ নেয়া মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ বেশিরভাগ সময় অধিকাংশ খবরে আস্থা রাখার কথা বলেছেন। জরিপ চালানো দেশগুলোর প্রায় অর্ধেকেই সংবাদের প্রতি মানুষের আস্থা কমেছে। কেবল সাতটি দেশে বেড়েছে। অনলাইনে মোট ৪৬টি ভোক্তা অঞ্চলে ৯৩ ‍হাজার ৪৩২ জন এই জরিপে অংশ নেন।

প্রতিবেদনে রয়টার্স ইন্সটিটিউটের পরিচালক রাসমুস ক্লেইস নিয়েলসেন লেখেন, ‘‘বেশিরভাগ মানুষ সংবাদমাধ্যমকে অযৌক্তিক রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর বিষয় বলে মনে করে। কেবল অল্পসংখ্যক মনে করেন, সংবাদমাধ্যমগুলো নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থের চেয়ে সমাজের জন্য যেটা সবচেয়ে ভাল, সেটি প্রকাশের ওপর জোর দিয়ে থাকে।” নামীদামি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে তরুণদের যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। বরং টিকটকের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্ল্যার্টফর্ম থেকে খবর সংগ্রহ করা তরুণের সংখ্যা বাড়ছে।

প্রতি সপ্তাহে ১৮-২৪ বছর বয়সী পাঠকদের ৭৮ শতাংশই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর জড়ো করে প্রকাশ করা ওয়েবসাইট, সার্চ ইঞ্জিন বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সংবাদ পড়ে থাকেন। এই বয়সের ৪০ শতাংশই প্রতি সপ্তাহে টিকটক ব্যবহার করেন। তাদের ১৫ শতাংশ বলেছেন, সংবাদ খুঁজে পেতে, আলোচনা করতে এবং শেয়ার করতে তারা টিকটক ব্যবহার করেন।

অর্থ খরচ করে অনলাইনের সংবাদ পড়া মানুষের সংখ্যা আগের মত আর বাড়ছে না বলেও প্রতিবেদনে উঠে এসছে। আর যারা এখনও অর্থ খরচ করে অনলাইনে সংবাদ পড়েন তাদের একটি বড় অংশই হাতেগোণা কয়েকটি জাতীয় নামীদামি প্রতিষ্ঠানের দিকে ধাবিত হন। যে ২০টি দেশে অর্থ খরচ করে সংবাদ পড়ার ব্যাপক প্রচলন আছে, জরিপে অংশ নেওয়া তাদের ১৭ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা অনলাইনে সংবাদ পড়তে অর্থ খরচ করেন। আগের বছরও এই সংখ্যাটা একই ছিল। আর স্থানীয় খবরের জন্য অর্থ খরচ বাজার ভেদে ভিন্ন।