NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১২, ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউক্রেন শান্তি আলোচনার আগে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা তুরস্কে সংঘাত অবসানের সম্ভাবনা, অস্ত্র ত্যাগের ঘোষণা পিকেকের টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েই ফেললেন কোহলি যমজ সন্তানের মা হলেন আম্বার হার্ড প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা তুরস্ক যে কারণে প্রকাশ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে জেলেনস্কিকে অবিলম্বে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বললেন ট্রাম্প কাশ্মীর হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নীরাবতা ভাঙলেন অমিতাভ
Logo
logo

বাংলাদেশে আমার শাস্ত্রীয় যন্ত্রশিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই


খবর   প্রকাশিত:  ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১০:০৭ এএম

>
বাংলাদেশে আমার শাস্ত্রীয় যন্ত্রশিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই

মাইহার ধ্রুপদ ঘরানার শাস্ত্রীয় যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত দিশারী চক্রবর্তী। যার জন্ম ভারতের কোলকাতায় হলেও বাবা-মার পরিবারের নিবাস ছিল বাংলাদেশে। গুণী এই শিল্পীর মায়ের পরিবার অবিভক্ত বাংলাদেশের কুমিল্লায় এবং বাবার পরিবার ২০০ বছর আগে নারায়ণগঞ্জে বসবাস করতেন। সে সূত্রে তিনি নিজেকে একজন বাংলাদেশের মানুষ হিসেবেই ভাবেন। 

পণ্ডিত দিশারী চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আঁতুড়ঘর। এখানে জন্ম নিয়েছেন বাংলার সব বিখ্যাত পণ্ডিতগণ। বাবা আলাউদ্দিন খাঁ এই বাংলাদেশে না জন্মালে আমার হয়তো আজকের আমি হয়ে ওঠা হতো না। আমার গুরুদক্ষিণা হিসেবে বাংলাদেশে আমার শাস্ত্রীয় যন্ত্রশিক্ষা ছড়িয়ে দিতে চাই। যাতে বাংলাদেশ থেকে বাবা আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের নাম কখনো মুছে না যায়।

বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় যন্ত্রসঙ্গীতের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জলবায়ু সঙ্গীত সৃষ্টির জন্য অনুকূল। এখানে প্রকৃতি নিজেই প্রতিনিয়ত সঙ্গীত সৃষ্টি করে। আমার শিক্ষার্থীদের অনেকের মধ্যেই ব্যাপক সম্ভাবনা দেখেছি। শুধু দরকার সঠিক শিক্ষা এবং দিক-নির্দেশনা। তবে একটি বিষয়ে আমি খুবই মর্মাহত। তা হলো আমি যে যন্ত্রটা বাজাই, বাংলাদেশে এই যন্ত্র বাজানোর কোনো যন্ত্রী নেই। একটি দেশ থেকে এইরকম একটি যন্ত্র বিলুপ্ত হয়ে গেছে যা খুবই দুঃখজনক। আমি চাই এর ওপর আগ্রহ নিয়ে কেউ একজন আসুক, আমি তাকে শিখাতে চাই।

তিনি মনে করেন সঙ্গীত বলতে শুধুমাত্র কয়েকটা স-র-গ-ম তাল লয় এবং রাগ-রাগিণী নয়। সঙ্গীত একটা বোধ, চেতনা যা মানুষকে দেয় “সেন্স অব এসথেটিক্স”। এছাড়া সঙ্গীত শেখায় মানুষের প্রতি মানুষের সহনশীলতা যা বর্তমান সমাজে অনেক কম দেখা যায়। সমাজে সঙ্গীত চর্চা যত বাড়বে, তত বেশি শুদ্ধ চেতনার ও মানবিক সমাজ গড়ে উঠবে। শুদ্ধ সঙ্গীত চর্চা করতে হলে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা বাড়াতে হবে। কারণ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে বলা হয় মাদার অব মিউজিক। তাই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ছাড়া সঙ্গীত শুদ্ধ হয় না।

প্রাচীনকালে শিষ্যরা গুরুর বাড়িতে থেকে শিক্ষা অর্জন করতেন। বর্তমান যুগেও সেই ধারা বজায় রেখে শিক্ষা নেওয়া যেতে পারে এমন ঘটনা বিরল। সেই অভাবনীয় কাজটি করে দেখিয়েছেন পণ্ডিত দিশারী চক্রবর্তী। তিনি একাধারে সন্তুর বাদক, সঙ্গীত পরিচালক এবং প্রশিক্ষক। প্রায় ২৮ বছর ধরে বিভিন্ন যন্ত্রসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি তিনি সাউন্ড ডিজাইন, মিউজিক কম্পোজিং ইন ফিল্ম, অডিও রেকর্ডিং অ্যান্ড এডিটিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।