NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

অস্ট্রেলিয়ায় গোপনে পাঁচ মন্ত্রীর দায়িত্ব, সংসদে সমালোচনা প্রস্তাব পাস


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:১২ এএম

অস্ট্রেলিয়ায় গোপনে পাঁচ মন্ত্রীর দায়িত্ব, সংসদে সমালোচনা প্রস্তাব পাস

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন করোনার সময় গোপনে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীরাও বিষয়টি জানতেন না। ২০২০ সাল থেকে ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত মরিসন স্বাস্থ্য, অর্থ, সম্পদ, স্বরাষ্ট্র ও রাজস্বমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। আগস্টে দ্য অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ের সারাংশ প্রকাশিত হলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।

 

 

বুধবার অস্ট্রেলিয়ার সংসদে মরিসনের সমালোচনা করা হয়। এ বিষয়ে আনীত প্রস্তাব ৮৬-৫০ ভোটে পাস হয়। এ সময় মরিসনের কর্মকাণ্ড ‘অস্ট্রেলিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট করে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করা হয়।

মরিসন হলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যার বিরুদ্ধে সংসদে সমালোচনা প্রস্তাব পাস হলো। করোনার সময় মরিসন সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি মরিসনকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। গত মে মাসে নির্বাচনে মরিসনের জোটকে হারায় অ্যালবানিজির দল।

সংসদে ভোটের আগে মরিসন বলেন, ‘আজ যারা আমার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন তাদের আমি একটি বিষয় বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ করছি, আপনারা কি কখনো এমন কোনো পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করেছেন, যার ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণ অজানা ছিল। ’

মরিসন স্বীকার করেন, কাউকে না জানানোর জন্য অনিচ্ছাকৃত অপরাধ ঘটেছে এবং যারা এতে আহত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। তিনি বলেন, ক্ষমতা নেওয়ার পর তিনি শুধু একটি কাজ করেছেন। সেটি হচ্ছে, সম্পদমন্ত্রীর দেওয়া একটি গ্যাসকূপ খনন প্রকল্পের অনুমোদন তিনি বাতিল করে দেন।

এদিকে হাইকোর্টের সাবেক বিচারক ভার্জিনিয়া বেল বিষয়টি তদন্ত করার পর বলেন, মরিসনের কাজ আইনগতভাবে বৈধ ছিল, যদিও বিষয়টি ‘সরকারের প্রতি আস্থা কমিয়েছে’৷ ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি এড়াতে তিনি আইনের ফাঁক বন্ধ করার প্রস্তাব দেন। অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রী পদে নিয়োগের বিষয়টি প্রকাশ্যে জানানো বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দেন বেল।

সূত্র : ডয়চে ভেলে