NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ভয়-আতঙ্কে ইসরায়েলি বাসিন্দারা তিন হাজার হলে মুক্তি পাচ্ছে আমির খানের সিনেমা অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা বাঙ্কারে থেকে ইরানের হামলার জবাব নিয়ে আলোচনা নেতানিয়াহুর বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপুকে সান্ত্বনা দেন শাকিব! রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫ ভারতে প্লেন দুর্ঘটনা চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশুর করুণ বিদায়ে কাঁদছে সবাই
Logo
logo

নেপালে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:২০ এএম

>
নেপালে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি

২৪ বছর বয়সী এক নেপালি মডেল অভিযোগ করেছেন আট বছর আগে এক সুন্দরী প্রতিযোগীতার আয়োজকরা মাদক সেবন করিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা দিয়ে পরে ব্ল্যাকমেইলও করা হয়।  

এই অভিযোগ ওঠার পর দেশটিতে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি উঠেছে। কারণ নেপালের আইনে ধর্ষণের ঘটনার এক বছরের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হয়, এক বছর পেরিয়ে গেলে কার্যত ধর্ষণের অভিযোগ তোলার সুযোগই থাকে না। 

আর সে কারণেই ওই মডেল বারবার অনুরোধ করলেও পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ আমলে না নিয়ে কথিত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে স্রেফ মানব পাচার এবং অপহরণের মামলা নিয়েছে।  

আইন সংস্কারের পাশপাশি ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে। 

দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সব দেশের মতো নেপালেও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুদের বিচার প্রাপ্তির হার খুব নগণ্য। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তার সামান্যই প্রকাশিত হয়, মামলা হয় আরও কম। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট মামলার অন্তত দুই তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই অপরাধীর কোনো শাস্তি হয় না। 

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নেপাল সরকারের প্রতি ধর্ষণের আইনকে ‘আন্তর্জাতিক মানে’ উন্নীত করা দাবি জানায়। 

গত সপ্তাহে নেপালের নারী আইনজীবীরাও ধর্ষণ আইন থেকে এক বছরের ‘শর্ত’ সরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলেন। সুপ্রিম কোর্টকে তারা বলেন, এক বছরের মধ্যে অভিযোগ করতে হবে, দেরি হলে ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকবে না- এমন বিধান বাতিল করতে হবে, কারণ, এর মাধ্যমে নারী এবং শিশুদের সুবিচার প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।