NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

নেপালে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ১১:২০ এএম

>
নেপালে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি

২৪ বছর বয়সী এক নেপালি মডেল অভিযোগ করেছেন আট বছর আগে এক সুন্দরী প্রতিযোগীতার আয়োজকরা মাদক সেবন করিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও করে তা দিয়ে পরে ব্ল্যাকমেইলও করা হয়।  

এই অভিযোগ ওঠার পর দেশটিতে ধর্ষণ আইন সংস্কারের দাবি উঠেছে। কারণ নেপালের আইনে ধর্ষণের ঘটনার এক বছরের মধ্যে অভিযোগ জানাতে হয়, এক বছর পেরিয়ে গেলে কার্যত ধর্ষণের অভিযোগ তোলার সুযোগই থাকে না। 

আর সে কারণেই ওই মডেল বারবার অনুরোধ করলেও পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ আমলে না নিয়ে কথিত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে স্রেফ মানব পাচার এবং অপহরণের মামলা নিয়েছে।  

আইন সংস্কারের পাশপাশি ধর্ষকদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে। 

দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সব দেশের মতো নেপালেও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুদের বিচার প্রাপ্তির হার খুব নগণ্য। ২০২১ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারা দেশে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, তার সামান্যই প্রকাশিত হয়, মামলা হয় আরও কম। প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট মামলার অন্তত দুই তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই অপরাধীর কোনো শাস্তি হয় না। 

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নেপাল সরকারের প্রতি ধর্ষণের আইনকে ‘আন্তর্জাতিক মানে’ উন্নীত করা দাবি জানায়। 

গত সপ্তাহে নেপালের নারী আইনজীবীরাও ধর্ষণ আইন থেকে এক বছরের ‘শর্ত’ সরিয়ে নেওয়ার দাবি তোলেন। সুপ্রিম কোর্টকে তারা বলেন, এক বছরের মধ্যে অভিযোগ করতে হবে, দেরি হলে ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর সুযোগ থাকবে না- এমন বিধান বাতিল করতে হবে, কারণ, এর মাধ্যমে নারী এবং শিশুদের সুবিচার প্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে।