NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১৯, ২০২৫ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে ব্রুকলিন ব্রিজে জাহাজের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১৯ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হতেই গাজা-ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলা জোরদার বিমানবন্দরে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া আটক টাইব্রেকারে হেরে বাংলাদেশের যুবাদের কান্না ৯ মাসে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর ৩৮ হামলা, নিহত ২ : বাংলাফ্যাক্ট সৌদি পৌঁছেছেন ৪৯১০৩ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর: কূটনীতির আলোচনায় উপেক্ষিত মানবাধিকার আরব আমিরাতকে হারিয়ে সিরিজে শুভ সূচনা টাইগারদের মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা
Logo
logo

ছয় মাস পর করোনায় মৃত্যু দেখল বেইজিং


খবর   প্রকাশিত:  ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৫৭ এএম

>
ছয় মাস পর করোনায় মৃত্যু দেখল বেইজিং

কঠোর জিরো কোভিড নীতি নেওয়া সত্ত্বেও শ্বাসতন্ত্রের প্রাণঘাতী রোগ করোনায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে চীনে। রাজধানী বেইজিংয়ে ইতোমধ্যে কোভিডজনিত অসুস্থতায় হয়ে ৩ জন মারা গেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।

বেইজিংয়ে প্রথম মৃত্যুটি হয় গত ১৯ নভেম্বর। তারপর গত তিন দিনে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মারা গেছেন আরও ২ জন।

চলতি বছর মে মাসের পর ১৯ নভেম্বর করোনায় মৃত্যু দেখল বেইজিং। মাঝখানের ৬ মাসে চীনের রাজধানীতে কোভিডজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুর কেনো ঘটনা ঘটেনি।

সম্প্রতি রাজধানীসহ চীনজুড়ে করোনার উল্লম্ফণ শুরু হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার চীনে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১২৭ জন, যা গত এপ্রিল মাসের পর একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের রেকর্ড।

সোমবার চীনে যতসংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের অর্ধেকই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুয়াংঝৌ এবং দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চংকিংয়ের বাসিন্দা।

অন্যদিকে রাজধানী বেইজিংয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রুখতে ইতোমধ্যে রাজধানী প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেইজিংয়ে স্কুল, পার্ক, শপিংমল বন্ধ ঘোষণা করেছে, সেই সঙ্গে বেইজিংবাসীকেও অতি জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ৫ হাজার ২২৯ জনের। বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে অবশ্য এই সংখ্যা অনেক কম। মহামারির শুরু থেকেই দীর্ঘমেয়াদী লকডাউন, ভ্রমণ বিধিনিষেধ, ব্যাপক টেস্ট ও টিকাদান কর্মসূচীর মাধ্যমে অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনায় আক্রান-মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছিল চীন।

চলতি বছরের শুরু থেকে বিশ্বের অন্যান্য দেশ কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যাওয়া শুরু করলেও চীন এখনও কঠোর সব করোনাবিধি চালু রেখেছে। সরকারি কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, দেশ থেকে করোনা নির্মূলে ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়েছে চীন।

বর্তমানে রাজধানী বেইজিংসহ বিভিন্ন শহরে লকডাউনের কারণে চীনে ‘গৃহবন্দি’ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ২ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ।