NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে: মেয়র এডামস


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৭:৪৭ এএম

নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে: মেয়র এডামস

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক এডামস বলেছেন, আমেরিকা হচ্ছে এমন একটি দেশ যেখানে বসতি গড়তে হলে মাতৃভূমির মায়া-মমতা ত্যাগের প্রয়োজন হয় না। অর্থাৎ এ দেশটিকে নিজের মনে করতে পারলে প্রিয় মাতৃভূমিকে এখানেই নিয়ে আসা যায়। আমেরিকার মহাত্ম এভাবেই মহিমান্বিত হচ্ছে বহুজাতিক সমাজে নিজ নিজ সংস্কৃতির ধারা প্রবাহিত রাখার মধ্য দিয়ে। নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিরা গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।

নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশী-আমেরিকানদের সংগঠন ‘বাপা’র ষষ্ঠ বার্ষিক অ্যাওয়ার্ড ডিনার’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা তিনি এসব কথা বলেন। ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন বিলাসবহুল একটি পার্টি হলে এই অনুষ্ঠান হয়।

পুুলিশ বাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশী অফিসারদের প্রশংসাকালে মেয়র বলেন, আপনারা নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন বলেই এই সিটির জনজীবনকে নিরাপদ রাখা সম্ভব হচ্ছে। একইসাথে নিজ কম্যুনিটির সকলের প্রতি যাদে ভিন্ন কম্যুনিটির লোকজনের শ্রদ্ধাবোধ বাড়ে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর এভাবেই সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধন সুসংহত হলে বিশ্বের রাজধানী খ্যাত এই সিটির ইমেজ আরো উজ্জ্বল হবে। সিটি মেয়র বলেন, নিজের ভাষা, সংস্কৃতিকে কখনো ছোট ভাববেন না। তাহলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়। বিশেষ করে এদেশে বেড়ে উঠা অথবা জন্মগ্রহণকারি প্রজন্মও গৌরববোধ করবে তার মা-বাবার সমাজ নিয়ে। নিউইয়র্ক সিটিতে বহু ভাষা, বহুবর্ণ আর বহু জাতির মানুষ বাস করছে। সবকিছু মাড়িয়ে আমি খুব সহজেই বাংলাদেশী-আমেরিকানদের দেখতে পাই তাঁদের কর্মনিষ্ঠা আর আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হিসেবে।

 

বিশেষ সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম বলেন, গৌরবে আমার বুকটা ভরে যায়, যখন এই সিটির নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে থেকে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশনের সদস্যগণের ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য শুনি। সকলেই প্রশংসা করেন প্রতিটি পুলিশ অফিসারের কর্মনিষ্ঠা-দায়িত্ববোধের বিষয়ে। বাংলাদেশের একজন নাগরিক এবং কন্সাল জেনারেল হিসেবে এরচেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে। এজন্যে আমি বাপার প্রতিটি সদস্য-কর্মকর্তাকে অভিবাদন জানাচ্ছি। 

কম্যুনিটির জনপ্রিয় দুই কণ্ঠশিল্পী রাজিব ও তৃণিয়া হাসানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর বাপার (বাংলাদেশী আমেরিকান পুলিশ এসোসিয়েশন) এই বর্ণাঢ্য ডিনারের সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও অ্যাওয়ার্ড বিতরণ পর্ব শুরু হয় সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন করম চৌধুরীর স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে। বাপার বোর্ড অব ট্রাস্টির সকলকে মঞ্চে ডেকে পরিচিতি পর্বের পর সমাপনী ভাষণ দেন বাপার ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদুর সিদ্দিক। 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ এটর্নী মঈন চৌধুরী, সিটি মেয়রের (এশিয়ান বিষয়ক) উপদেষ্টা ফাহাদ সোলায়মান, কম্যুনিটি লিডার গিয়াস আহমেদ, রিয়েল এস্টেট ইনভেস্টর নুরুল আজিম, কম্যুনিটি লিডার মাহাবুবুর রহমান টুকু এবং ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, পিজি গ্রুপের সিইও পার্থগুপ্ত, ইউনাইটেড টেকনোলজি কোম্পানী ‘প্র্যাট এ্যান্ড  হুইটনি’র সহযোগী পরিচালক মোহাম্মদ ইসলাম, এটর্নী মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, কাজী আজম, মাকসুদ চৌধুরী, ফিরোজ আলম প্রমুখ। 

আগত অতিথিগণকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত ছিলেন বাপার মিডিয়া লিঁয়াজো জামিল সরোয়ার, কম্যুনিটি লিঁয়াজো মাহবুবুর জুয়েলসহ কর্মকর্তারা।