NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

ফরিদপুর-২ আসনে আ'লীগের বিদ্রোহীসহ দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:২১ এএম

ফরিদপুর-২ আসনে আ'লীগের বিদ্রোহীসহ দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

 


নাজমুল হাসান নিরব,ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশে নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেন আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. জামাল হোসেন মিয়া।এছাড়া একই সাথে এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়াও তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর নির্বাচন অফিস থেকে তাদের দু'জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

বিকেলে ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান আ'লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়ার মনোনয়ন প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এব্যাপারে বক্তব্য জানতে জামাল হোসেন মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে এ প্রতিবেদকের মুঠোফোনে একটি খুদে বার্তা পাঠিয়ে ব্যস্ত আছে বলে জানান তিনি।

তবে, আ'লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে এ মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান জামালের বড় ভাই মো. কামাল হোসেন মিয়া।
কামাল হোসেন মিয়া বলেন, "নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন করে জামাল মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আমরা আ'লীগের মনোনীত প্রার্থীকে পূর্ণ সমর্থন করেছি। আমরা নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করবো।"

এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাহারের ব্যাপারে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়া বলেন, "ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী একজন সম্মানী ব্যক্তি ও আওয়ালীগের একজন প্রবীণ নেতা ছিলেন। আর তাইতো তাঁর পরিবারের সম্মানার্থে আমি আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।"

ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে মোট ০৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ০৪ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে তালিকায় থাকেন এবং ০২ জনের তথ্যের গড়মিল থাকায় যাঁচাই-বাছাইয়ে প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

গত বুধবার (১২ অক্টোবর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ও দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।

যাঁচাই-বাছাই শেষে বৈধভাবে মনোনীত প্রার্থীগণ হলেন- শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ), মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো: আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র)।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন-মো. কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় বাতিল হয় তাঁর মনোনয়নপত্র। মো. আবদুল কাদের (স্বতন্ত্র) সমর্থন সূচক স্বাক্ষর যুক্ত তালিকায় তথ্যের গড়মিল থাকায় তাঁর মনোনয়নও বাতিল করা হয়।

পরে, ১৯ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী মো. আলমগীর মিয়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।

ফরিদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, এই নির্বাচন ইভিএময়ের মাধ্যমে হবে। ফরিদপর-২ সংসদীয় আসনের মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার তাদের ভোট প্রয়োগ করবেন ।ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৫ই নভেম্বর।খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।


প্রসঙ্গ, সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী ১০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন, মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ অক্টোবর ও প্রার্থীতা প্রত্যাহার ১৯ অক্টোবর। আগামী ৫ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।