NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ৩, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
গত ১৫ বছরে সাংবাদিকদের ভূমিকা মূল্যায়নে জাতিসংঘের সহায়তা চাওয়া হবে: প্রেসসচিব রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের পরিচয়পত্র পেশ সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছে হামলা চালালো ইসরায়েল এশিয়া ও আফ্রিকার তিন দেশে ৪টি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা হানিয়ার নামে ‘পাক সেনার বিরুদ্ধে’ পোস্ট, যা বললেন অভিনেত্রী বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তানিয়া আমিরের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর : প্রেস উইং এপ্রিলে ২৯৬ ভুল তথ্য শনাক্ত : রিউমার স্ক্যানার গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩১ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দিলেন ট্রাম্প উত্তর আমেরিকায় বড় আয়ের পথে ‘জংলি’
Logo
logo

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সরানো হলো আমির-কিয়ারার বিজ্ঞাপন


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০২:১৪ এএম

>
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, সরানো হলো আমির-কিয়ারার বিজ্ঞাপন

বরাবরই ছক ভাঙতে ওস্তাদ বলিউড সুপারস্টার আমির খান। সিনেমা থেকে শুরু করে পণ্যের বিজ্ঞাপন— সবখানেই নতুনত্বের ছোঁয়া দিতে চান ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। সাম্প্রতিককালে সময়টা ভালো কাটছে না খান সাহেবের। ‘লাল সিং চাড্ডা’ বক্স অফিসে ব্যর্থ হলো। এরপর সরিয়ে নেওয়া হলো তার অভিনীত নতুন বিজ্ঞাপনও।

আমির-কিয়ারা জুটির প্রথম কাজ। আর শুরুতেই তাদের সঙ্গী বিতর্ক। যেখানে দেখানো হয়েছে, আমিরকে বিয়ে করে নিজের বাড়িতে এনেছেন কিয়ারা। অর্থাৎ কনে নয়, বিয়ের পর নিজের বাড়ি ছেড়ে এসেছেন বর। চিরাচরিত নিয়মের বাইরে গিয়ে ছক ভাঙার বার্তা দিয়েছে বিজ্ঞাপনটি। শুধু তাই নয়। দেখানো হয়েছিল, কিয়ারার অসুস্থ বাবার দেখাশোনার দায়িত্বও আমিরের।

কিয়ারা এবং আমির অভিনীত বিজ্ঞাপনটি নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। সমালোচনার তির ধেয়ে আসে দুই তারকার দিকেও। ব্যাংকিং সংস্থার বিজ্ঞাপনে হিন্দু ধর্মের রীতিনীতি নিয়ে কাটাছেঁড়া কেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীও।

অবশেষে, নেটমাধ্যম থেকে সরিয়ে দিতে হলো আমির খান এবং কিয়ারা আদভানি অভিনীত ব্যাংকিং সংস্থার বিজ্ঞাপনটি। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে ওই বিজ্ঞাপন, এমনটাই অভিযোগ। ফলত চাপের মুখে পড়ে সেটি তুলে নিতে বাধ্য হয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপনে হিন্দু বিয়ের এই রীতি বদল অনেকেই ভালোভাবে নেননি। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর প্রশ্ন, ‘আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না, ব্যাংকগুলো কবে থেকে সামাজিক এবং ধর্মীয় রীতি বদলের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল।’

যদিও অনেকেই মনে করছেন, সংকীর্ণ মানসিকতার কাছে পরাজয় স্বীকার করতে হচ্ছে মুক্ত চিন্তার প্রদর্শনকে। এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে দিন বদলের বার্তা দিয়েছিল ব্যাংকটি। কিন্তু জনরোষের মুখে পড়ে শেষমেশ পিছু হঠতে হয়েছে তাদের।