NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

বিশ্বকাপের ঠিক আগে সিরিজ জয়, তবু দুশ্চিন্তায় ভারত


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:০৫ পিএম

>
বিশ্বকাপের ঠিক আগে সিরিজ জয়, তবু দুশ্চিন্তায় ভারত

রানবন্যার এক ম্যাচই হলো বটে। দুই দল মিলে তুলল ৪৫৮ রান। সেই এক ম্যাচে বিজয়ের হাসি হেসেছে ভারত। রোহিত শর্মার দল সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে, তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলেছে দলটি। তবে এমন জয়ের পরও দলটির ভাবনার শেষ নেই। বিশ্বকাপের ঠিক আগে যে বোলিংয়ের তথৈবচ দশা! 

সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল ভারত। টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততেই হতো। সেই ম্যাচে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।

শুরুতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রোহিত তো বটেই, ঝড় তুললেন লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরাও। রোহিত একটু ধীরগতিতে খেলেছেন, ওপাশে রাহুল যেভাবে ২০৩ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছিলেন, তাতে ভারত অধিনায়কের হাত খোলার তেমন প্রয়োজনও পড়েনি। রোহিত যখন দশম ওভারে ফিরছেন, ভারতের উদ্বোধনী জুটি তখনই তুলে ফেলেছে ৯৬ রান।

এরপর বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা এই সুতোয় ঢিল পড়তে দেননি। রাহুলের ২৮ বলে ৫৭ রানের পর কোহলি ১৭৫ স্ট্রাইক রেটে ২৮ বলে ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন সূর্যকুমার। ২২ বলে করেছেন ৬১, তার ২৭৭ রানের স্ট্রাইক রেটের কাছে কোহলিদের ব্যাটিংকে বড় ধীরগতির বলেই মনে হচ্ছিল। তাদের ঝড়ের পর শেষ দিকে দীনেশ কার্তিকের ক্যামিওতে ভর করে ভারত তুলে ফেলে ২৩৭ রান, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রান আর কখনো করতে পারেনি ভারত।

জবাবে আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ৭ বলে ০ রানে ফেরেন, পরের ওভারে রাইলি রুশোও যখন ফিরলেন শূন্য হাতে, দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরবোর্ডে রান তখন যোগ হয়েছে মোটে একটি।  ৪৭ রানের মাথায় এইডেন মার্করামও ফেরেন ১৯ বলে ৩৩ রান করে। 

পরের গল্পটা কেবলই ডেভিড মিলারের। তার একারই বটে, নিজে করেছেন ৪৭ বলে ১০৬ রান। দক্ষিণ আফ্রিকাও পরের ৮৪ বলে পেয়েছে ১৭৪। সঙ্গী কুইন্টন ডি কক যদি আরেকটু আগে থেকে হাত খুলতেন, তাহলে হয়তো মিলারের এমন ইনিংসটা নেহায়েত বিফলে যেত না! ২৩৮ রান তাড়ার ম্যাচে ইনিংসের ১৬তম ওভারে ডি কক ফিফটি ছুঁয়েছেন ৩৯ বলে। ফলে আস্কিং রেটটাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৭ রানের, তিন ছক্কাসহ ২০ রান তুলেও তাই কাজ হয়নি। ১৬ রানের জয় নিয়ে ভারত নিশ্চিত করে ফেলে সিরিজ।

বিশ্বকাপের ঠিক আগে এই সিরিজ নিশ্চিত করা ভারতকে অবশ্য স্বস্তির বদলে শঙ্কাই উপহার দিচ্ছে বেশি। এক দীপক চাহার ছাড়া যে কোনো বোলারই মিতব্যয়ী ছিলেন না গত রাতে! আরশদ্বীপ সিং, হার্শাল পাটেল আর অক্ষর পাটেল রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি ১০-এর বেশি করে। জসপ্রীত বুমরাহকে নিয়ে আছে শঙ্কা। তার ওপর বাকি ভারতীয় বোলিং লাইনআপও যদি এভাবে নিস্প্রভ থাকে, তাহলে যে ভারতের বিশ্বকাপের সম্ভাবনা আরও একবার মিশে যাবে ধুলোয়!