NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

বার্সেলোনায় ক্যারিয়ার শেষ করতে চান চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো রাফিনিয়া


খবর   প্রকাশিত:  ২৪ মে, ২০২৫, ১০:০৫ এএম

বার্সেলোনায় ক্যারিয়ার শেষ করতে চান চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো রাফিনিয়া

সাধারণত চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই কোনো খেলোয়াড় ক্লাব ছাড়ার চিন্তা করেন। সেদিক থেকে রাফিনিয়ার হাতে দুই বছর সময় ছিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তবে বার্সেলোনা যেন তাকে সহজেই ছাড়তে রাজি নয়। তাই পূর্বের চুক্তির শর্তটা এখনই কাজে লাগাল।

 

রাফিনিয়ার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ এক বছরের জন্য বাড়িয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। এভাবে বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না যে, এবারের মৌসুমে ব্রাজিলিয়ান তারকার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সই বার্সেলোনাকে চুক্তি বাড়িয়ে নিতে বাধ্য করেছে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সেই এবার লা লিগা পুনরুদ্ধার করেছে বার্সেলোনা। সঙ্গে কোপা দেল রে ও স্প্যানিশ সুপার কাপও জিতেছে কাতালানরা।

 


 

এমনকি চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন রাফিনিয়া। তার প্রমাণ মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের ফরোয়ার্ড সেরিউ গুইরাসির সঙ্গে যৌথভাবে ১৩ গোল নিয়ে শীর্ষে থাকা। আর সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪ গোল করেছেন সেলেসাওদের ফরোয়ার্ড। সঙ্গে ২৫ গোলে সহায়তাও করেছেন তিনি।

এমন পারফরম্যান্সে ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়েও আছেন ২৮ বছর বয়সী তারকা।

 

রাফিনিয়ার সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি ছিল বার্সেলোনার। গতকাল সেই চুক্তি এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়। চুক্তির মেয়াদ বাড়ানর সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও পুত্রও। অথচ, একটা সময় ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন এই উইঙ্গার।

এখন সেই ক্লাবেই ক্যারিয়ার শেষ করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি। ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘আমি রাফিনিয়া এখন বাবার সঙ্গে একজন অধিনায়কও। যখন এখানে এসেছিলাম তখনকার থেকে আমার দায়িত্ব বেড়েছে। বছরের সঙ্গে সঙ্গে সবাই পরিপক্ক হয়। আমি এখনো প্রত্যেকের সহায়তা পরিপক্ক হওয়া শিখছি। আশা করি একজন ভালো মানুষ এবং ফুটবলার হতে পারব।’

 


 

গোল এবং অ্যাসিস্ট করে সামনের বছরগুলোতেও সমর্থকদের আনন্দ দিতে চান রাফিনিয়া। তিনি বলেছেন, ‘আমি অনেক গোল এবং অ্যাসিস্ট করতে চাই। সবমিলিয়ে এই জার্সিতে অনেক শিরোপা জিততে চাই। এটাই আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য। সমর্থকদের আনন্দ দিয়ে যেতে চাই। এখানেই ক্যারিয়ারের শেষটা হোক সেই স্বপ্ন আমার। সেরাটা দিতে তাই করতে চাই।’