NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ৫, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
‘আজ তাক বাংলা’র প্রতিবেদন পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ: প্রেস উইং যে কারণে এখনই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি পাকিস্তানের টানা ১৫ ঘণ্টা সংবাদ সম্মেলন করে মালদ্বীপ প্রেসিডেন্টের বিশ্বরেকর্ড দল ঘোষণা বাংলাদেশের, নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন উর্দুতে ‘জংলি’, মুক্তি পাচ্ছে পাকিস্তানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড, সতর্ক থাকার আহ্বান সোমবার নয়, মঙ্গলবার দেশে ফিরবেন খালেদা জিয়া পুরানা পল্টনে আগুন ১১ তলা ভবনের ছাদজুড়ে টিনশেড, ভেতরে ছিল বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদে ফের আলবানিজের জয়
Logo
logo

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মবার্ষিকী আজ


খবর   প্রকাশিত:  ০৩ মে, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মবার্ষিকী আজ

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের জন্মদিন আজ। অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার সুন্দরপুর গ্রামে ১৯২৯ সালের ৩ মে (আজকের দিনে) জাহানারা ইমামের জন্ম। বাবা আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। পারিবারিক অনুকূল পরিবেশের সুবাদে জাহানারা রক্ষণশীল নারী সমাজ থেকে বেরিয়ে এসে আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।

 

 

বিয়ের পর প্রকৌশলী স্বামী শরীফ ইমামও তাকে এ ব্যাপারে যথেষ্ট অনুপ্ররণা যুগিয়েছেন। কলকাতার লেডি ব্রেবোর্ন থেকে বি.এ পাস করে পরবর্তীকালে প্রাইভেটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম.এ করেন জাহানারা ইমাম। কর্মজীবনে তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। সত্তরের দশকের শেষ দিকে শিক্ষকতা ছেড়ে প্রগতিশীল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।

 


 

একাত্তরে তার ছেলে শাফী ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেন, কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ও পরবর্তীতে নির্মমভাবে শহীদ হন। রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রেই জাহানারা ইমাম শহীদ জননীর মযার্দায় ভূষিত হন। ১৯৯২ সালের ১৯ জানুয়ারি গঠিত ১০১ সদস্যবিশিষ্ট একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন জাহানারা ইমাম।

তিনি লেখালেখিও করেছেন বিস্তর।

অনবদ্য গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুল’ ছাড়াও তার উল্লেখযোগ্য রচনাপঞ্জির মধ্যে রয়েছে: ‘অন্য জীবন’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ’, ‘জীবন মৃত্যু’, ‘চিরায়ত সাহিত্য’, ‘বুকের ভিতর আগুন’, ‘দুই মেরু’, ‘নিঃসঙ্গ পাইন’, ‘নয় এ মধুর খেলা’, ‘ক্যান্সারের সঙ্গে বসবাস’, ‘প্রবাসের দিনলিপি’ ইত্যাদি।

 


 

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সেখান থেকে ঢাকায় এনে তাকে সমাহিত করা হয়।