Shibbir Ahmed প্রকাশিত: ০১ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
ঘড়ির কাঁটা মধ্যরাত স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের প্রতিটি দেশ নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনুযায়ী ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাচ্ছে। বর্ণিল আতশবাজি, আলোকসজ্জা এবং সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে মানুষ নতুন বছরের আগমনে মেতে উঠেছে।নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বিখ্যাত বল ড্রপ ইভেন্ট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। হাজারো মানুষ একত্রিত হয়ে নতুন বছরের কাউন্টডাউন উদযাপন করে। পাশাপাশি, কনসার্ট, প্যারেড এবং পারিবারিক আয়োজনে দেশব্যাপী নববর্ষের উৎসব চলে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারেও লাখ লাখ মানুষ বরণ করে নিয়েছে খ্রিস্টীয় নতুন বছরকে। আলোয় আলোয় বর্ণিল টাইম স্কয়ার যেন আরও রঙিন হয়ে ওঠে এ সময়। ভৌগলিক অবস্থানে সবচেয়ে পশ্চিমের দেশ হওয়ায় সবশেষে নতুন বছরকে বরণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১২টা বাজতেই টাইম স্কয়ারে ওয়াটার ফোর্ড ক্রিস্টাল বল ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়।নিউইয়র্কের টাইম স্কয়ারে দেখা যায় চোখ ধাঁধানো আতশবাজি। এ সময় আলো ঝলমলে টাইম স্কয়ার যেন আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে।
বর্ষবরণের এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন এক লাখেরও বেশি মানুষ। টাইম স্কয়ারে নতুন বছর উদযাপন করতে বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমায়। পর্যটকরা বলেন, মানুষ খুব কম সময়ই পায় আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য। আমরা চাই, সবাই আনন্দের সঙ্গে নতুন বছরকে বরণ করে নিক। বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুন ভালোবাসার বার্তা। এ বছর আমরা মানবতার কথা বলব। এছাড়া গত বছরের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও থাকবে।
টাইমস স্কয়ার এলাকাটি এমনিতেই রঙ-বেরঙয়ের বৈদ্যুতিক আলোকসজ্জ্বার কারণে সুখ্যাত। নববর্ষের আমেজে বাড়তি সাজসজ্জায় বেড়েছে সৌন্দর্যের মাত্রা। এছাড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহর।এর আগে প্রথম দেশ হিসেবে নতুন বছরকে বরণ করে নিউজিল্যান্ড। এরপর একে একে অস্ট্রেলিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, দুবাই, থাইল্যান্ড, জার্মান, যুক্তরাজ্যের আকাশও আতশবাজির আলোয় বর্ণিল হয়ে ওঠে।