NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এমপি-কর্মকর্তা-এনজিওর বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:০৪ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এমপি-কর্মকর্তা-এনজিওর বিরুদ্ধে চীনের নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তার পাশাপাশি কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রধানদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে চীন। সোমবার (২১ এপ্রিল) বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন এই ঘোষণা দেন।

তিনি জানান, হংকং-সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে যেসব মার্কিন কংগ্রেস সদস্য, কর্মকর্তা এবং এনজিও প্রধানরা ‘খারাপ ভূমিকা’ রেখেছেন, তাদের বিরুদ্ধে চীন নিষেধাজ্ঞা দেবে। দেশটির ‘বিদেশি নিষেধাজ্ঞা-বিরোধী আইন’-এর আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে কারা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

 

গুও জিয়াকুন আরও বলেন, হংকং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভবিষ্যতে এ ধরনের ‘ভুল পদক্ষেপ’ গ্রহণ করলে চীন তার উপযুক্ত জবাব দেবে।

 

এর আগে, গত মার্চে চীন ও হংকংয়ের ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ‘সীমান্ত পেরিয়ে দমনমূলক আচরণ’ এবং শহরটির স্বায়ত্তশাসন হ্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন হংকংয়ের বিচার সচিব পল ল্যাম, নিরাপত্তা অফিসের পরিচালক ডং জিংওয়েই এবং সাবেক পুলিশ কমিশনার রেমন্ড সিউ।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে নতুন এই পাল্টা নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও উত্তপ্ত করতে পারে। পাশাপাশি বেইজিং হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, অন্য কোনো দেশ যদি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন কোনো বাণিজ্যচুক্তিতে যায়, যাতে চীনের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয়, তাহলে সেসব দেশের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাজ্য থেকে চীনের হাতে হস্তান্তরের সময় হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ নীতিমালার আওতায় ৫০ বছর পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসন ও পশ্চিমা ধরনের নাগরিক অধিকার বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই প্রতিশ্রুতি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে দাবি করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো। তবে চীন ও হংকং সরকার এই অবস্থানকে যুক্তি দিয়ে বলছে—নিরাপত্তা আইন শহরের স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।