NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে : প্রধান উপদেষ্টা ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ভয়-আতঙ্কে ইসরায়েলি বাসিন্দারা তিন হাজার হলে মুক্তি পাচ্ছে আমির খানের সিনেমা অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার নামের পাশে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা বাঙ্কারে থেকে ইরানের হামলার জবাব নিয়ে আলোচনা নেতানিয়াহুর বুবলীর কর্মকাণ্ড দেখে অপুকে সান্ত্বনা দেন শাকিব! রোজার আগে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব তারেক রহমানের করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫ ভারতে প্লেন দুর্ঘটনা চিকিৎসক দম্পতি ও তিন শিশুর করুণ বিদায়ে কাঁদছে সবাই
Logo
logo

গোলরক্ষকের ভুলে জয়বঞ্চিত ম্যানইউ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

গোলরক্ষকের ভুলে জয়বঞ্চিত ম্যানইউ

৯৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে। আর কয়েক সেকেন্ড পরই হয়তো শেষ বাঁশি বাজাতেন রেফারি। এমন সময় দ্বিতীয়বারের মতো বড় ভুল করে বসলেন ম্যানইউর গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। সেই ভুলের মাসুল দিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়বঞ্চিত থেকেই ফিরতে হয়েছে ম্যানইউকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানইউর বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ২-২ গোলে ড্র করেছে ফরাসি ক্লাব লিঁও।

 

ম্যানইউ গোলরক্ষক ওনানা পুরো ম্যাচেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন। ম্যাচ-পূর্ববর্তী লিওঁ মিডফিল্ডার নেমানজা মাতিচের সঙ্গে বাকযুদ্ধের পর তার দিকে দৃষ্টি যায় সবার। উত্তেজনাকর বাক্য বিনিময়ে মাতিচকে ওনানা বলেছিলেন, ম্যানইউ লিঁওর তুলনায় অনেক ভালো দল। পাল্টা জবাবে মাতিচ ওনানাকে ক্লাবটির ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ গোলরক্ষকদের একজন হিসেবে আখ্যা দেন।

এরপর ওনানাকে প্রতিবার বল স্পর্শ করার সময়ই স্বাগতিক লিঁওর সমর্থকরা দুয়ো দেন। এতে বাড়তি চাপ অনুভব করতে থাকেন ওনানা। ২৫ মিনিটে ক্যারেরুনের এ গোলরক্ষকের ভুলেই থিয়াগো আলমাদার গোলের মাধ্যমে প্রথম লিড নেয় লিঁও। আলমাদার ফ্রি কিক সরাসরি জালে ঢুকে পড়লে ওনানার ভুল আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

১-০ গোলে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েনি ম্যানইউ। প্রথমার্ধের ঠিক শেষ মুহূর্তে (৪৫+৫ মিনিট) লেনি ইয়োরো ম্যানইউকে সমতায় ফেরান। এই গ্রীষ্মে যোগ দেওয়ার পর এটি ছিল ম্যানইউর জার্সিতে তরুণ সেন্টার-ব্যাকের প্রথম গোল। মানুয়েল উগার্তের শট হেড করে জালে পাঠান ইয়োরো এবং ক্লাবের ইতিহাসে ইউরোপে গোল করা সবচেয়ে কনিষ্ঠ ডিফেন্ডারে পরিণত হন তিনি।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যানইউ কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে। লিঁও একাধিক বড় সুযোগ নষ্ট করে। এরপর ৮৮ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেসের পাস থেকে জসুয়া জির্কজি গোল করে ম্যানইউকে ২-১ গোলে এগিয়ে দেন। ম্যানইউ শিবিরে শুরু হয় উদযাপন। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ে সফরকারীদের সেই আনন্দ হতাশায় পরিণত হয়।

৯৫ মিনিটে রায়ান চেরকি ম্যানইউর স্বপ্ন চুরমার করে দেন। জর্জ মিকাউতাদজের শট ঠেকাতে গিয়ে বল সরাসরি চেরকির পায়ে ফেলে দেন ওনানা। সুযোগ পেয়ে গোল করতে ভুল করেননি চেরকি।

 

 

 

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খারাপ পারফরম্যান্স করলেও ইউরোপা লিগে ম্যাইউ ছিল ভালো অবস্থানে। রুবেন আমোরিমের দল এই প্রতিযোগিতায় এখনো অপরাজিত।