NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ২ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

টাম্পের শুল্কারোপে বিশ্ব কী মন্দার দিকে যাচ্ছে?


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৮ এএম

টাম্পের শুল্কারোপে বিশ্ব কী মন্দার দিকে যাচ্ছে?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, কিন্তু এর অর্থ কি আমরা মন্দার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি?

প্রথমেই মনে রাখতে হবে শেয়ারবাজারে যা ঘটে তা একইভাবে অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে না। শেয়ারের দাম কমে যাওয়া সবসময় অর্থনৈতিক দুর্দশাকে বোঝায় না। তবে কখনো কখনো তা হয়।

 

শেয়ারবাজারে খুব বড় পতনের অর্থ হলো কোম্পানিগুলোর ভবিষ্যতের মুনাফার একটি মৌলিক পুনর্মূল্যায়ন।

বাজারগুলো যুক্তিসঙ্গতভাবে যা আশা করে তা হলো শুল্ক বৃদ্ধির ফলে খরচ বাড়বে ও মুনাফা কম হবে।

 

এর অর্থ এই নয় যে মন্দা অনিবার্য। তবে ট্রাম্পের শুল্ক ঘোষণা করার আগে যে আশঙ্কা ছিল পরিস্থিতি তার চেয়ে স্পষ্টতই অনেক বেশি খারাপ।

ব্যয় বা রপ্তানির মোট পরিমাণ যখন টানা দুই প্রান্তিকে সংকুচিত হয় তখনই সেটাকে মন্দা বলা হয়। তাই এখনই মন্দা সম্পর্কে স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।

যদিও বছরের শেষ নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার ৬০ শতাংশ আশঙ্কা দেখছে জে.পি.মরগান। যা আগের ৪০ শতাংশের পূর্বাভাস থেকে বেশি।

 

এসএন্ডপি গ্লোবাল মার্কিন মন্দার আশঙ্কা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এর মধ্যে বাড়িয়েছে, যা মার্চ মাসে ২৫ শতাংশ ছিল।

আসিয়ান সদস্য দেশ ভিয়েতনামের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমা ব্র্যান্ডগুলোর জন্য কম দামের পোশাকের একটি প্রধান উৎপাদক কম্বোডিয়া ৪৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের শিকার হয়েছে।

ট্রাম্পের সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপের শিকার অন্যান্য আসিয়ান দেশগুলো হল লাওস (৪৮ শতাংশ), মিয়ানমার (৪৪ শতাংশ), থাইল্যান্ড (৩৬ শতাংশ), ইন্দোনেশিয়া (৩২ শতাংশ)।

 

এদিকে চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। ফলে আসন্ন মাসগুলোতে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হতে পারে। যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব অর্থনীতিতে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে দেশে কমতে পারে প্রবৃদ্ধি।

সূত্র: বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স