NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ, সম্পদ হারালেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৭ এএম

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কারোপ, সম্পদ হারালেন বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা

বিশ্বের প্রায় সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বুধবার (২ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন তিনি। সবশেষ এই শুল্কারোপের পর বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনী একদিনেই প্রায় ২০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সম্পদ খুইয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারির পর এবারই প্রথম এমন ঘটনা ঘটলো। বিশ্বের ধনকুবের ব্যবসায়ীদের অর্ধেকেরও বেশি ব্যবসায়ীর ভাগ্যের পতন ঘটেছে। বিশ্বজুড়ে বড় বড় সব প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারবাজারেও ধস নেমেছে।

 

মেটার শেয়ারদর কমেছে ৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ, অ্যামাজনের কমেছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, গুগলের ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং অ্যাপলের শেয়ারদর কমেছে ৯ শতাংশ।

ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যক্তিগতভাবে এক হাজার ৭৯ কোটি ডলার হারিয়েছেন মেটার প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদ কমেছে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার এবং এখন পর্যন্ত টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক ১১ হাজার কোটি ডলারের সম্পদ খুইয়েছেন।

 

এদিকে ট্রাম্পের শুরু করা বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে সবচেয়ে বড় আঘাতটি যেন পেতে যাচ্ছে অ্যাপল। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বাড়তি শুল্ক প্রতিষ্ঠানটির ব্যয় বাড়াচ্ছে, অন্যদিকে চীনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া অ্যাপলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারে পণ্য বিক্রিতে ধস নামাতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী টিম কুকের জন্য রীতিমতো ভূরাজনৈতিক দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছে এটি।

গত ২ এপ্রিল ট্রাম্প যখন সব বড় বাণিজ্য অংশীদারের ওপর ‘পারস্পরিক’ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, তার পরদিনই শেয়ারবাজারে অ্যাপলের মূল্য ৩১১ বিলিয়ন ডলার কমে যায়। ৪ এপ্রিল চীন পাল্টা জবাবে সব মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ও দুর্লভ খনিজ পদার্থ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে অ্যাপলের শেয়ারের দর আরও পড়ে যায়। হার্ডওয়্যারের ওপর নির্ভরতা থাকায় এই ধাক্কা অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অ্যাপলের জন্য অনেক বেশি।

একসময় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার সেতুবন্ধ হিসেবে দেখা হতো টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে। অনেকে আশা করেছিলেন, প্রতিষ্ঠানটি হয়তো দুই পরাশক্তির মধ্যে সংঘাত এড়াতে সাহায্য করতে পারে।

 

বর্তমানে ট্রাম্প চীনের ওপর ৫৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যেখানে অ্যাপলের প্রায় ৯০ শতাংশ আইফোন উৎপাদিত হয়। এই শুল্ক যুক্ত হয়েছে আগের শুল্কের সঙ্গে। এছাড়া ভারতে ২৬ শতাংশ ও ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে—যেখানে অ্যাপল বিকল্প উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিল। এখন সেই পরিকল্পনাও ঝুঁকির মুখে।