NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

প্রশাসনের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে দেবেন না : এরদোয়ান


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম

প্রশাসনের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে দেবেন না : এরদোয়ান

এরদোয়ানের বিরোধী নেতা ইমামোলুকে গ্রেপ্তারের পর থেকে উত্তাল ইস্তাম্বুল। সহিংস আন্দোলন থামানোর নির্দেশ এরদোয়ানের। ২০১৩ সালে গেজি পার্কের আন্দোলনের পর এত বড় বিক্ষোভ তুরস্ক দেখেনি। 

ইস্তাম্বুলের মেয়র তথা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরোধী নেতা একরেম ইমামোলুর গ্রেপ্তারের পর গোটা তুরস্কজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা মূলত অবস্থান বিক্ষোভের মাধ্যমে প্রতিবাদ আন্দোলন সংগঠিত করছেন। কোথাও আইন ভাঙেননি তারা। আন্দোলন সহিংসও হয়নি। 

 

কিন্তু এরদোয়ান সোমবার এই আন্দোলনকে ‘সহিংস’ আন্দোলন বলে উল্লেখ করেছেন।

দ্রুত বিক্ষোভ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার অভিযোগ, এই আন্দোলন মানুষকে উসকানি দিচ্ছে। এদিকে সোমবারই ইমামোলুর দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিপিএইচ) তরফে জানানো হয়েছে, তাকেই ২০২৮ সালে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

 

আজ মঙ্গলবার ৭ম দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন তুরস্কের সাধারণ মানুষ।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরেম ইমামোগলুকে দুর্নীতির অভিযোগে আটকের পর গত সোমবার থেকে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে।

 

এরদোয়ানের  বক্তব্য

সোমবার এরদোয়ানের বলেছেন, ‘ইমামোলুর গ্রেপ্তার ঘিরে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তা সহিংস চেহারা নিয়েছে।’ সিপিএইচ দলকে সতর্ক করে এরদোয়ান বলেছেন, প্রশাসনের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙতে দেবেন না। তার আগেই এই বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হোক। প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, সিপিএইচ মানুষকে উত্তেজিত করে তুলছে।

 

এরদোয়ানের অভিযোগ, এই আন্দোলনের জেরে পুলিশ কর্মীরা আহত হয়েছেন। দোকানের কাচ ভেঙেছে। বেশ কিছু সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এই সবকিছুর উত্তর চাওয়া হবে সিপিএইচ-এর কাছে। পার্লামেন্টে রাজনৈতিক উত্তর দিতে হবে তাদের। আর আদালতে আইনি লড়াই লড়তে হবে। কিন্তু এর্দোয়ানের এই বক্তব্যের পরেও বিক্ষোভ-আন্দোলনে ভাঁটা পড়েনি। 

ইমামোলুর পোস্ট

এদিকে জেলে বসেই সমাজ মাধ্যমে একের পর এক পোস্ট করছেন ইমামোলু। জনগণকে রাস্তায় থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, কেউ যেন কোনো উসকানিতে পা না দেন। পুলিশের সঙ্গে যেন কেউ সংঘর্ষে জড়িয়ে না পড়েন। তিনি লিখেছেন, ‘সাধ্যের বেশি চেষ্টা করছি এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে।’

জার্মানির বক্তব্য

জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎসের মুখপাত্র সোমবার জানিয়েছেন, ‘ইস্তাম্বুলের মেয়রের গ্রেপ্তার এবং নিলম্বন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’ কেন এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা দ্রুত জানাতে হবে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কে যা ঘটছে তা গণতন্ত্রের পক্ষে শুভ নয়। এই ঘটনা তুরস্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলেও জানিয়েছে জার্মানি।