NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম

রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স

টাইব্রেকারে নির্ধারিত ৫টি শট শেষ। দুই দল তখন ৩-৩ সমতায়। এরপরই টাইব্রেকারে প্রবেশ করে সাডেন ডেথে। মিস করলেই শেষ, আর সুযোগ পাবে না। এমন পরিস্থিতিতে স্নায়ু ধরে রাখাই কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই করলেন ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইকমাইগনান।

ক্রোয়েশিয়ান ফুটবলার ইয়োসিক স্টানিসিকের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে মেতে ওঠে ফ্রান্স ফুটবলাররা, ৫-৪ গোলের ব্যবধানে জয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠার আনন্দে।

 

কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ক্রোয়েশিয়ার মাঠে গিয়ে ২-০ ব্যবধানে হেরে এসেছিলো ফরাসিরা। ফিরতি লেগে অন্তত ৩ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। রীতিমত অসাধ্য কাজ। তবুও ঘরের মাঠ স্টেডে ডি ফ্রান্সে স্বাগতিক সমর্থকরা আশায় বুক বেধে এসেছেন, কিলিয়ান এমবাপেরা যদি অসাধ্য সাধন করতে পারে!

সেই অসাধ্য সাধন হয়েছে, তবে তা টাইব্রেকারের মাধ্যমে। তার আগে ২-০ গোলের জয় দিয়ে শেষ করেছিল ফ্রান্স। জিতলেও ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানোর কারণ, দুই লেগে দুই দলেরই গোল সমান ২-২। যার ফলে ম্যাচ গড়িয়েছিলো অতিরিক্ত সময়ে। মোট ১২০ মিনিটের খেলায়ও আর কেউ গোল করতে পারেনি। ফলে সেমিফাইনালের দল নির্ধারণে টাইব্রেকারে ছাড়া উপায় ছিল না।

 

নির্ধারিত সময়ে ফ্রান্সের হয়ে গোল করেন মিকায়েল ওলিসি এবং ওসমান ডেম্বেলে। প্রথমার্ধে কেউ কোনো গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই, ম্যাচের ৫২তম মিনিটে মিকায়েল ওলিসি প্রথম ক্রোয়েশিয়ার গোলের তালা খোলেন এবং জালে বল জড়ান। ৮০ মিনিটের সময় দ্বিতীয় গোল করেন ওসমান ডেম্বেলে।

পুরো ম্যাচে একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে ফ্রান্স। তাদের বল দখলের পরিমাণ ছিল ৬২ ভাগ। ক্রোয়েশিয়ার ৩৮ ভাগ। সব মিলিয়ে ফ্রান্স ২২টি সুযোগ তৈরি করেছিলো গোলের। যার মধ্যে মাত্র ২টি কাজে লাগাতে পেরেছে। অন্যদিকে ১২০ মিনিটের খেলায় ক্রোয়াটরা গোলের একটি সুযোগও তৈরি করতে পারেনি।

টাইব্রেকারে প্রথম শট নেন এমবাপে। বল জড়ায় ক্রোয়েশিয়ার জালে। ক্রোয়াটদের প্রথম শট নিতে আসেন মার্টিন বাটুরিনা। তার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। দ্বিতীয় শটে দুই দলই গোল করে। ফ্রান্সের অরিলিয়েন চুয়ামেনি এবং ক্রোয়েশিয়ার নিকোলা মোরো শট নেন।

 

তৃতীয় শট দুই দলই মিস করে। ফ্রান্সের হুলেস কুন্দে এবং ক্রোয়েশিয়ার ফ্রাঞ্জো ইভানোভিচ- দু’জন তাদের শটকে পাঠিয়ে দেন গোলপোস্টের ওপর দিয়ে। চতুর্থ শটে গোল করে দু’দলই। ফ্রান্সের কোলো মুয়ানি এবং ক্রোয়েশিয়ার মারিও প্যাসালিক নেন চতুর্থ শট দুটি।

পঞ্চম শট মিস না করলেই সেমিতে ফ্রান্স। কিন্তু নাটক যে তখনও বাকি! থিও হার্নান্দেজ শট মিস করেন। বাম পাশের কর্নার দিয়ে বল চলে যায় বাইরে। ক্রোয়েশিয়ার ক্রিশ্চিয়ান ইয়াকিক গোল করলে ব্যবধান দাঁড়ায় ৩-৩। খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে।

 

৬ষ্ঠ শট নেন ফ্রান্সের ডিজায়ার দুয়ে এবং ক্রোয়েশিয়ার দুয়ে ক্যালেটা-কার। দু’জনের শটই জালে জড়ায়। ৪-৪। সপ্তম শটে দায়ত উপামেকানো গোল করেন এবং ক্রোয়েশিয়ার ইয়োসিক স্টানিসিকের শট ঠেকিয়ে দেন ফ্রান্স গোলরক্ষক মাইক মাইগনান।