NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

লেস্টার সিটির অভিজ্ঞতা জামালদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান হামজা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩৪ এএম

লেস্টার সিটির অভিজ্ঞতা জামালদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চান হামজা

হামজা দেওয়ান চৌধুরী যখন যে ক্লাবেই খেলুক না কেন, তার প্রধান পরিচয় লেস্টার সিটির ফুটবলার। সেই পাঁচ বছর বয়স থেকেই এই ক্লাবের সাথে আছেন। যুব দল থেকে সিনিয়র দলে; লেস্টার সিটির সাথে তার গল্প ও অভিজ্ঞতা বিশাল।

বাংলাদেশ জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার পর ইংল্যান্ড প্রবাসী এই বাংলাদেশি ফুটবলার সেই গল্প ও অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে চার তার নতুন সতীর্থদের সঙ্গে। বুধবার টিম হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই শুনিয়েছেন বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

 

১০ বছরের অধিক সময় তিনি লেস্টারের সিনিয়র দলের খেলোয়াড়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন ওই দলটির অনেক সাফল্য-ব্যর্থতার সঙ্গে মিশে আছে হামজার নাম।

আগামী ২৫ মার্চ বাংলাদেশ দলের জার্সিতে মাঠে নামার সাথে সাথেই তার ক্যারিয়ারের পাতায় যোগ হবে নতুন এক অধ্যায়। যে অধ্যায় একজন ফুটবলারের কাছে সবচেয়ে গৌরবের, দেশের জার্সি গায়ে পরার।

 

লেস্টার সিটির সাথে পথ চলায় অনেক গল্প তৈরি হয়েছে সিলেটের হবিগঞ্জের ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। সেই লেস্টারের মতো গল্প তৈরি করতে চান বাংলাদেশের ফুটবলের সাথেও। এই লাল-সবুজ জার্সিতেও লম্বা একটা সময় খেলতে চান তিনি।

বাংলাদেশ সম্পর্কে হামজার মূল্যায়ন, ‘জাতি হিসেবে আমরা দারুণ। সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমরাও কিছু অর্জন করতে পারি। তবে কোনো কিছুই সহজে আসে না। এ জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। সাফল্য পেতে অনেক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এখানে রাতারাতি কিছু করা সম্ভব না।’

১৭ মার্চ দুপুরে বাংলাদেশের সিলেটে পা রাখার পর থেকে তিনি দেখেছেন তাকে নিয়ে এখানকার ফুটবলপ্রেমী আর গণমাধ্যমকর্মীদের কী আগ্রহ। সমর্থকদের অনেক প্রত্যাশা তার কাছে। এটা নিশ্চিত ভারতকে হারাতে পারলে হামজাকে মাথায় তুলে নাচবেন সবাই। হারলে উল্টো চিত্রও দেখা যেতে পারে। এমনটি মনে করিয়ে দেওয়া হলে হামজার জবাব, তিনি কোনো চাপ দেখছেন না।

তার চাপ না থাকারই কথা। কারণ, তিনি ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে অনেক বেশি চাপ নিয়ে খেলে অভ্যস্ত। তার একটাই কথা ফোকাসটা ম্যাচেই রাখবেন।

 

চাপ প্রসঙ্গে হামজা বলেছেন, ‘আমি তেমন কিছু মনে করি না। দিন শেষে আমরা ফুটবল খেলি। ফুটবলে যে কোনও কিছুই হতে পারে। এখানে কোচ দলকে প্রস্তুত করছে। আমি এখানে এসে সবার ভালোবাসা পাচ্ছি। আমি দলকে সহযোগিতা করতে চাই। এবং সেটা যতটা সম্ভব ততটা।’

 

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অনেক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। অন্যদেরও আছে অভিজ্ঞতার ঝুলি। এই সতীর্থদের কাছ থেকে নিজেদের শেখার আছে কথাটি বলে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন দক্ষিণ এশিয়ার সুপারস্টার হামজা।