NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

পাকিস্তানের ট্রেনে জিম্মিদশা থেকে শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ১৬ হামলাকারী নিহত


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

পাকিস্তানের ট্রেনে জিম্মিদশা থেকে শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ১৬ হামলাকারী নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের দুর্গম অঞ্চলে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার জাফর এক্সপ্রেসে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। সে সময়  ট্রেনের চার শতাধিক যাত্রীকে জিম্মি হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীও ছিলেন। কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী ট্রেনে নজিরবিহীন এই ঘটনায় ১৬ হামলাকারী নিহত হয়েছে। ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

ওই এলাকা বেশ দুর্গম হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা বোলান পাসের ধাদার এলাকায় জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য একটি বিশাল অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে কমপক্ষে ১৬ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে।

 

নিরাপত্তা সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রেনের নয়টি বগিতে ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল। তখনই এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বেশ কিছু নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় আহত ১৭ জনকে কাছাকাছি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, নারী এবং শিশুসহ শতাধিক যাত্রীকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

 

পাকিস্তানে ট্রেনে এ ধরনের বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা এটাই প্রথম। এর আগে কখনও পুরো ট্রেনে হামলা চালিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করা বা আক্রমণের ঘটনা ঘটেনি।

নিষিদ্ধ ঘোষিত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে এবং দাবি করেছে যে তারা বিপুল সংখ্যক মানুষকে জিম্মি করেছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা ডনকে জানিয়েছেন, পেশোয়ারের উদ্দেশে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় কোয়েটা থেকে ছেড়ে যায়। সে সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে ৪৫০ জন যাত্রী ছিল। স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে তারা খবর পায় যে, মুশকাফের কাছে অবস্থিত ৮ নম্বর রেলওয়ে টানেলের কাছে পানীর এবং পেশি রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যবর্তী স্থানে ট্রেনটি হামলার শিকার হয়েছে।

 

সশস্ত্র ব্যক্তিরা ট্রেনটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় এবং তারা গুলি ছুড়তে শুরু করে। সে সময় ট্রেনটি থেমে যায়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিরাপত্তাকর্মী এবং হামলাকারীদের মধ্যে তীব্র গুলি বিনিময় হয়েছে।