NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

এবার ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ছে জ্বালানির দাম


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৫:৪১ পিএম

>
এবার ইন্দোনেশিয়ায় বাড়ছে জ্বালানির দাম

সরকারের তরফ থেকে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেওয়া সত্ত্বেও ইন্দোনেশিয়ায় শিগগিরই বাড়তে যাচ্ছে সব ধরনের জ্বালানির দাম। দেশবাসীকে আসন্ন এ পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগমন্ত্রী বাহলিল লাহাদালিয়া।

শুক্রবার রাজধানী জাকার্তায় এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। প্রতিদিনই সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। বর্তমানে জ্বালানি খাতে আমরা ২৫ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছি, কিন্তু তারপরও অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’

ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি বছর এ খাতে ৫০২ ট্রিলিয়ন রুপিহা (ইন্দোনেশীয় মুদ্রা) বা ৩৪ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার ভর্তুকি দেয় সরকার। কিন্তু করোনা মহামারির ২ বছরে বিশ্বের উন্নয়নশীল অন্যান্য দেশের মতো ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতিও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের বিপরীতে ব্যাপকভাবে কমেছে রুপিহার দাম।

এ কারণে পূর্বের ধারা অনুযায়ী যদি ভর্তুকি অব্যাহত রাখা হয়, সেক্ষেত্রে দেশটির মুদ্রার বর্তমান মানদণ্ডে তার পরিমাণ ৬০০ ট্রিলিয়ন রুপিহায় উন্নীত করতে হবে।

কিন্তু ৫০২ ট্রিলিয়ন থেকে হঠাৎ করে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন রুপিহা ভর্তুকি বাড়ানো হলে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সরকারের একটি সূত্র।

শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে বাহলিল লাহাদালিয়া বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিস্থিতি, তাতে ভর্তুকি আরও বাড়ানো তো দূর— দীর্ঘদিন যদি এই হার বজায় রাখলেও অর্থনৈতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’

‘জ্বালানির দাম বাড়ানো ছাড়া আপাতত আর কোনো পথ নেই। জনগণের উদ্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে আমার আন্তরিক আহ্বান, আসুন আমরা আরেকবার দেশের অর্থনীতিকে পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধ হই।’

ইন্দোনেশিয়ার জ্বালানির বাজারে সরকারি ও বেসরকারি— দুই ধরনের বিক্রেতা রয়েছে। ভর্তুকির কারণে সরকারি বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে অপেক্ষাকৃত কম দামে জ্বালানি বিক্রি হয়।

সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার অর্থমন্ত্রী শ্রী মুল্যানি ইন্দ্রবতী বৃহস্পতিবার সরকারি বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি বিক্রি সীমিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সরকারি এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন দেশটির অর্থনীতিবিদদের একাংশ। তাদের বক্তব্য— সরকার অর্থনীতির সংস্কার ও রুপিহার মান পুনরুদ্ধারের পরিবর্তে জনগণের ভোগান্তি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে।