NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

রমজানে গাজায় ‘দুর্ভিক্ষ ও বিশৃঙ্খলার’ আশঙ্কা


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৩১ এএম

রমজানে গাজায় ‘দুর্ভিক্ষ ও বিশৃঙ্খলার’ আশঙ্কা

রমজান মাসে গাজার মানুষদের জন্য তীব্র খাদ্যসংকট ও দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ ইসরায়েল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে সব ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের এক নারী সতর্ক করে বলেছেন, এতে দুর্ভিক্ষ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে।

জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন দেশ ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। মিশর, কাতার ও জর্ডান এটিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

 

গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময়সীমা বাড়ানোর ইসরায়েলি দাবিকে প্রত্যাখ্যান করায় হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার ওই চুক্তির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর ইসরায়েল মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। হামাস ইসরায়েলের এই শর্তকে ‘চাপ প্রয়োগের কৌশল’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে প্রবেশ করতেই হবে।

 

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসকে আরও কঠোর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সরকার গাজায় পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) বলেছে, গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধ করা ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যুদ্ধাপরাধ মামলার প্রমাণ আরও শক্তিশালী করবে। সংগঠনটি নেতানিয়াহুকে ‘অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধী’ বলে উল্লেখ করে বলেছে, রমজান মাসে গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা বন্ধ করা স্পষ্টতই একটি যুদ্ধাপরাধ এবং ইসরায়েলের গণহত্যার ইচ্ছার আরেকটি প্রমাণ।

আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন সতর্ক করেছে, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনিদের আবারও চরম সংকটের মধ্যে ফেলেছে। গাজায় নিরাপদ ও বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

 

মানবাধিকার সংস্থা অ্যাকশন ফর হিউম্যানিটি ইসরায়েলের এই পদক্ষেপকে ‘গণযন্ত্রণা’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছে, এটি নিষ্ঠুরতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে। এটি পরিকল্পিত, কাঠামোবদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন।

 

নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল বলেছে, ইসরায়েলের নতুন অবরোধ গাজার বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে ধ্বংসের একেবারে শেষ সীমায় ঠেলে দেবে। সংস্থাটি ইসরায়েলকে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা