NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

হতাশ মধুবালার পরিবার, সনিকে আইনি নোটিশ


খবর   প্রকাশিত:  ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০১:৪৭ এএম

হতাশ মধুবালার পরিবার, সনিকে আইনি নোটিশ

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি মধুবালার ৯২তম জন্মবার্ষিকী। দিনটি হিন্দি সিনেমার মহানায়িকার ভক্তরা প্রয়াত তারকার সৌন্দর্য ও চিরকালীন আকর্ষণকে ধারণ করে জমকালো আয়োজনে উদযাপন করবেন। মধুবালার ছোট বোন মধুর ব্রিজ ভূষণ বলেছেন, ‘এ দিনটা আমার এবং পরিবারের জন্য অত্যন্ত বিশেষ দিন।’

১৯৫০ ও ৬০-এর দশকে মধুবালা তার অসাধারণ প্রতিভা ও অপরূপ সৌন্দর্যে চলচ্চিত্র জগতের শীর্ষে ছিলেন। সেই সময় থেকেই মধুবালা এবং তার জীবন সবসময়ই আলোচনার তুঙ্গে ছিল। গত বছর মার্চে সনি পিকচার্স মধুবালার জীবনের উপর একটি বায়োপিক তৈরির ঘোষণা দেয়। চলচ্চিত্র মহলে এটি ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে।

 

তবে ফিল্মটির সম্পর্কে এখনো কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। এজন্য সনি পিকচার্সকে আইনি নোটিশ দিতে যাচ্ছেন মধুবালার বোন।

তিনি জানান, ‘এখন ২০২৫ সাল, আমরা গত বছরের মে মাসে সনি পিকচার্সের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছি ছবিটির ব্যাপারে। কিন্তু এখনো কোনো অগ্রগতি বা আপডেট পাইনি। আমি অত্যন্ত হতাশ। সনি পিকচার্সের কাছ থেকে স্পষ্ট উত্তর পাচ্ছি না। আমি একাধিকবার তাদের কাছে ইমেইল পাঠিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো জবাব দেয়নি।’

 

মধুর জানান, তিনি তার আইনি দলের মাধ্যমে সনি পিকচার্সকে একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। আমি বৃদ্ধ বয়সে রয়েছি। যে কোনো অপেক্ষা আমাকে অস্থির করে রাখে। আর সেটা যখন হয় আমার বোনকে ঘিরে তখন তা আরও বেশি ভাবনায় ফেলে দেয় আমাকে। কেন তারা এমন নিরব হয়ে আছে আমি জানি না। তবে আমি বেঁচে থাকলে আমার বোনের জীবনী নির্মাণের জন্য যা করা প্রয়োজন সবই করব। মধুবালা যেমন একজন সুপারস্টার ছিলেন তেমনই ছিলেন একটি পরিবারের মেয়ে। তিনি সাধারণ জীবনকে ভালোবাসতেন। আমি আশা করি, তাকে নিয়ে সিনেমাটি দ্রুত শুরু হবে এবং আমি আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেখব।’

মধুর স্পষ্টভাবে জানান, মধুবালার জীবন নিয়ে কেউ অনুমতি ছাড়া যেন কোনো সিনেমা বা শো তৈরি করার চেষ্টা না করেন। এটি হবে অন্যায়। এমনটি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেইসঙ্গে তিনি মন খারাপ করে জানান, ‘কিছু লেখালেখি এবং অনলাইন কন্টেন্টে মধুবালাকে খারাপভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটা আমাকে ব্যথিত করেছে। সবাই দয়া করে আরেকটু সচেতন থাকবেন।’

 

মধুর আরও জানান, তিনি মধুবালার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু বিশেষ কাজ করতে চেয়েছিলেন। যেমন তার ম্যুরাল স্থাপন, একটি বৃদ্ধাশ্রম এবং সংগীত বিদ্যালয় স্থাপন করা। কিন্তু সিনেমাটি নিয়ে অযৌক্তিক বিলম্বের কারণে সেগুলোও এখন স্থগিত করতে হয়েছে।