NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

মার্কিন সহায়তা বন্ধ আফগানিস্তানে হাজারের বেশি মাতৃমৃত্যুর শঙ্কা


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ০৭:৩১ পিএম

মার্কিন সহায়তা বন্ধ আফগানিস্তানে হাজারের বেশি মাতৃমৃত্যুর শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা বন্ধের কারণে আফগানিস্তানে ২০২৮ সালের মধ্যে গর্ভকালীন এবং সন্তান জন্মদানের সময় বিভিন্ন জটিলতায় এক হাজারের বেশি নারীর মৃত্যু হতে পারে। জাতিসংঘের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে সতর্ক করেছে। খবর এএফপির

জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএফপিএ) এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পিও স্মিথ বলেন, অবশ্যই আমরা এ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

 

তিনি বলেন, ২০২৫ সাল থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা না আসলে এক হাজার ২০০ মাতৃমৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে এক লাখ ৯ হাজারের বেশি অপরিকল্পিত গর্ভধারণের ঘটনাও ঘটতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এরপরই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে।

 

ফাঁস হওয়া একটি নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যেসব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোটিশে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ার কথা বলা হয়েছে।

গত ২৪ জানুয়ারি আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর প্রায় সব ধরনের সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরপরই বিভিন্ন দেশের বহু ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যায়, থেমে যায় এইচআইভি আক্রান্তদের ওষুধ সরবরাহসহ অন্য ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের কাজ।

 

একইভাবে স্থলমাইন অপসারণ, শরণার্থীদের সহায়তাও বন্ধ হয়ে যায়। সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের বন্দি রাখা আমেরিকা-সমর্থিত কারাগারগুলো দুই সপ্তাহের জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে, এটি আপাতত স্বস্তিদায়ক হলেও তা খুবই ক্ষণস্থায়ী।