NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

আসছে সামারে এক লাখ কর্মসংস্থান করবে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ১১:৩৩ পিএম

আসছে সামারে এক লাখ কর্মসংস্থান করবে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ

এবারও সামারে এক লাখ কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণীদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে নিউইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ। নিউইয়র্ক সিটির স্কুল-কলেজে যারা পড়ালেখা করছেন কিংবা সিটির পাঁচ বরোর কোনো একটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, এমন অধিবাসীরাই সামারের কাজের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার সবচেয়ে বড় শর্ত হচ্ছে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ১৪ থেকে ২৪ বছর। কিছু প্রোগ্রাম আছে শুধু স্টুডেন্টের জন্য আর কিছু প্রোগ্রাম আছে ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী সবার জন্য। এ ছাড়া স্টুডেন্টরাও নিউইয়র্ক সিটির বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন।
সিটির এলফরএল ও এসওয়াইইপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টুডেন্টরা সামারের জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ছয় সপ্তাহের জন্য কাজ করার সুযোগ পান। এখন এলফরএল প্রোগ্রামের আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন নেওয়া হবে। এসওয়াইইপির আবেদন এখনো শুরু হয়নি। তবে খুব শিগগিরই শুরু হবে। এই কাজের জন্য তাদেরকে পেমেন্ট দেওয়া হয়ে থাকে ঘণ্টা হিসাব করেই। এখানে যারা অংশ নিতে চান, তারা আগেভাগেই সব নথিপত্র সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। যাদের বয়স ১৮ বছরের কম, তাদেরকে আবেদন করার জন্য বাবা-মায়ের স্বাক্ষর নিতে হয়। এ ছাড়া স্টেটের কাছ থেকে কাজ করার জন্য একটি কার্ড সংগ্রহ করতে হয়। এ ব্যাপারে স্কুল কিংবা কলেজ কর্তৃপক্ষ সহায়তা করে থাকে। এই প্রোগ্রামের সুবিধা হলো কেউ যে একবারই আবেদন করতে পারবেন, বিষয়টি এমন নয়। বরং তারা চাইলে প্রতিবছরই আবেদন করতে পারবেন। যত দিন না তাদের বয়স ২৪ বছর পূর্তি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই ইন্টার্নশিপের মাধ্যমে একেকজন স্টুডেন্ট নিজেকে যেমন আগামী দিনের চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত করে তুলতে পারেন, তেমনি রিজিউমি লেখা, কভার লেটার লেখা, চাকরির ইন্টারভিউ দেওয়া ও পাস করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। চাকরিতে যোগদান, ছয় সপ্তাহ কাজ করার কারণে স্ব স্ব বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা নেন। ছাত্রজীবনেই চাকরির অভিজ্ঞতা থাকায় লেখাপড়া শেষ করার সঙ্গে সঙ্গেই তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ পেয়ে যান।
এই ইন্টার্নশিপ আগামী দিনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত করে। এলফরএল প্রোগ্রামটি জাতীয়ভাবে স্বীকৃত একটি প্রোগ্রাম, যা হাইস্কুল ও কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিউইয়র্ক সিটিতে নেতৃস্থানীয় করপোরেশন, অলাভজনক সংস্থা এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ইন্টার্নশিপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়। লিডার ইন্টার্নদের নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগকর্তারা চাকরির জন্য প্রস্তুত আবেদনকারীদের সঙ্গে মিলিত হন। যাদের বাছাই করা হয়, তাদেরকে ইন্টারভিউয়ের জন্য তৈরি করা হয়। শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিযোগিতামূলক আবেদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যান এবং ৩০ ঘণ্টা প্রাক-নিয়োগ প্রশিক্ষণ পান।
সামার ইয়ুথ এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম (এসওয়াইইপি) হলো দেশের সর্ববৃহৎ যুব কর্মসংস্থান কর্মসূচি, যা ১৪ থেকে ২৪ বছর বয়সী নিউইয়র্ক সিটির যুবকদের ক্যারিয়ার অন্বেষণের সুযোগ এবং প্রতি গ্রীষ্মে বেতনের কাজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংযুক্ত করে। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আগ্রহ এবং কর্মজীবনের পথ অন্বেষণ করতে পারেন, কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীল অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন এবং কাজ শেখার অভিজ্ঞতায় নিযুক্ত হতে পারেন; যা তাদের সামাজিক, নাগরিক এবং নেতৃত্বের দক্ষতাকে শক্তিশালী করে। কাঠামোবদ্ধ প্রকল্প এবং কাজভিত্তিক সুযোগগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিটির ইয়ংরা ভবিষ্যতের ক্যারিয়ারের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হন। এসওয়াইইপি প্রোগ্রামে আবেদন এখনো শুরু হয়নি। এতে মার্চ মাস পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ থাকে। গত বছর তরুণদের আবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল ১৫ মার্চ।
আবেদনকারীদের মনে রাখতে হবে, আবেদন করার সময় অবশ্যই তার স্কুল অথবা কলেজে ট্রান্সক্রিপ্ট দিতে হয়। এই ট্রান্সক্রিপ্টের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে তিনি স্টুডেন্ট। যারা সিটির পাবলিক স্কুলে লেখাপড়া করেন, তাদের স্টুডেন্টশিপ পরীক্ষা করতে সিটি কর্তৃপক্ষকে বেশি বেগ পেতে হয় না।