NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১২, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
থানায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলবেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে যুক্ত হলো নতুন বিধান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ‘গর্বিত’ ট্রাম্প জামিনে মুক্তি পেলেন টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী লা লিগার ইতিহাসে দ্রুততম হ্যাটট্রিকের রেকর্ড সোরলোথের ভারত ও পাকিস্তানকে সাধুবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ গণহত্যাকারীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে: উপদেষ্টা আসিফ ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে হামলায় গাজায় শিশুসহ নিহত ২১ যুদ্ধবিরতিকে ঐতিহাসিক বিজয় বললেন শাহবাজ শরিফ
Logo
logo

অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা স্থগিত


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম

অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা স্থগিত

অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমিত দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে দণ্ডও স্থগিত করেছেন। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।  

 

 

এ দিন আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।

 

 

 

আইনজীবীরা জানান, সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সাজা। এই সাজার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

 

এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর এ মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে তাকে খালাস দেওয়া হয়। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

 


 
1
গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। ছবি: সংগৃহীত

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলাটি করে দুদক। এরপর ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

পরের বছরের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

 

মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়, যাদের মধ্যে চার্জ শিটের বাইরের সাক্ষী হিসেবে ছিলেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) এজেন্ট ডেবরা লেপরোভেট।


 

মামলার আভিযোগে বলা হয়েছে টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন। 

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়ে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। সেই সঙ্গে মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।


 

এরপর এ রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। পাশাপাশি গিয়াস উদ্দিন মামুনও আপিল করেন। দুই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২১ জুলাই তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। একই মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন মামুন আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন।