NYC Sightseeing Pass
Logo
logo

প্রত্যাশা যতটুকু ছিল ততটা পূরণ হয়নি : সারজিস


খবর   প্রকাশিত:  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:৫১ এএম

প্রত্যাশা যতটুকু ছিল ততটা পূরণ হয়নি : সারজিস

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, অভ্যুত্থানের চার মাস হয়ে গেল। এই চার মাসে প্রত্যাশা যতটুকু ছিল ততটা পূরণ হয়নি। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় ব্যক্তিগত সফরে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ৫ আগস্টে এতো জীবন এতো রক্তের বিনিময়ে যে নতুন একটা স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, সেটার প্রত্যাশার পারদ ছিল সর্বোচ্চ লেভেলে।

কিন্তু সেই লেভেল পূরণ করা আদৌও সম্ভব কি-না তা আমি জানি না। তবে একটা স্ট্যান্ডার্ড লেভেল পর্যন্ত নেমে আসবে। এই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বা আমাদের প্রত্যাশার বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ওই স্ট্যান্ডার্ড পূরণ করা।

 

তিনি বলেন, ভারত যদি মনে করে বিগত ১৬ বছর যেভাবে আওয়ামী লীগকে নিরাপত্তা দিয়ে বাংলাদেশকে শুষে নিয়েছে, সেই সুযোগ বাংলাদেশের জনগণ আর দিবে না।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিবেশীর মতো হবে উল্লেখ করে সারজিস বলেন, সম্পর্ক তিক্ততার হবে কি-না তা ভারত কাজের মাধ্যমে নির্ধারণ করবে।

 


 

সারজিস আলম আরো বলেন, বাংলাদেশে মানুষ এখন শতভাগ ঐক্যবদ্ধ। ভারতের কিছু মেরুদণ্ডহীন মিডিয়া সাম্প্রদায়িক প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, সাম্প্রদায়িক উসকানি দেয়া হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে।

তিনি বলেন, গত ১৬ বছর নামের কারণেই বৈষম্যের শিকার হয়েছে বগুড়া।

বগুড়া নিয়ে আমাদের অনেক কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে বগুড়ায় একটা প্রোগ্রাম করার কথা ভাবছি। ইয়াং জেনারেশনকে নিয়ে অনেক বড় একটি প্রোগ্রাম করা হবে। পুরো উত্তরের আমাদের হিসাব মতে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের যে ১৬টি জেলা আছে তার মধ্যে অভ্যুত্থান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ও ত্যাগ স্বীকার করেছে বগুড়া। এই ১৬ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শহীদ ও আহত হয়েছে বগুড়ার মানুষ।
সেইসঙ্গে সবচেয়ে রক্তাক্ত এবং রক্ত দিয়েছে এই বগুড়া জেলার মাটি। সেই জায়গা থেকে আমাদের আলাদা একটা দায়বদ্ধতা আছে।

 

সারজিস বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া, সিস্টেমগুলো সংস্কার করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় এভাবে যাবো এবং আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গা থেকে কাজগুলো করবো।

বগুড়া শহরের মালতিনগর স্টাফ কোয়ার্টার বটতলায় অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর বাসায় সারজিস আলম পারিবারিক সফরে আসেন। সঙ্গে তার বাবা-মা ছিলেন।