NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১১, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

শ্রমখাত সংস্কারে সরকারের অগ্রগতির প্রশংসা মার্কিন প্রতিনিধিদলের


খবর   প্রকাশিত:  ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম

শ্রমখাত সংস্কারে সরকারের অগ্রগতির প্রশংসা মার্কিন প্রতিনিধিদলের

স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রমখাত সংস্কার কর্মসূচিতে অর্জিত অগ্রগতির প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সফররত শ্রম প্রতিনিধিদল। 

সংস্কার উদ্যোগের প্রতি ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেন তারা। পাশাপাশি অবশিষ্ট শ্রমখাত সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন। 

 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্তর্জাতিক শ্রম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রড্রিগেসের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে এ অভিমত ব্যক্ত করে প্রতিনিধিদল। 

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব লেবার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি, ইউএস দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স, অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা এবং শ্রম সংস্থা ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়ন, ওয়াকার রাইটস কনসোর্টিয়াম ছাড়াও বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠান জিএপি ইনকরপোরেটেড পিবিএইচ ও ভিএফ করপোরেশনের প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

 

প্রতিনিধিদল ১৮ দফা চুক্তি বিশেষ করে শ্রমিকদের কথা শোনার সুযোগ দেওয়ার জন্য মালিক ও কর্মচারীদের একত্রিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করে। 

বৈশ্বিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিরা ন্যায্য মজুরি নির্ধারণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তারা উচ্চ মানসম্পন্ন পণ্যের বৈশ্বিক বাজার ধরতে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। 

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শ্রম সংস্কার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্যতম অগ্রাধিকার। এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ তুলে ধরেন। ১৮ দফা দাবিতে চুক্তি, বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধন, শ্রম সংক্রান্ত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং ন্যূনতম মজুরি পর্যালোচনা কমিটি গঠন বিষয়ে জানান। 

 

পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ক্রমে মার্কিন প্রশাসনের প্রস্তাবিত আইএলও রোডম্যাপ এবং শ্রম কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি এ সফরের জন্য প্রতিনিধিদলকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে আগামী দিনে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

 

মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের প্রতি তাদের সমর্থন প্রকাশ করা। এছাড়া, বাংলাদেশি অর্থনীতি বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা বোঝা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া শ্রম সংস্কারের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা।