NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

‘টিকে থাকা কঠিন’ বলছেন ব্যবসায়ীরা


খবর   প্রকাশিত:  ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:৪৯ এএম

>
‘টিকে থাকা কঠিন’ বলছেন ব্যবসায়ীরা

নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। সঙ্গে বাড়বে পরিবহন ব্যয়ও। ফলে বাড়তি দামে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে। বড় ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের পোশাক খাত।

রোববার (৫ জুন) বিকেলে গ্যাসের দাম বাড়ানোর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানান পোশাক খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মান্নান কচি ঢাকা পোস্টকে বলেন,ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, কিছুদিন আগে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের আবেদন ছিল, নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানো না হয়। কারণ এখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে

কচি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ানোর কারণে আমাদের সক্ষমতার জায়গাটা অনেক কমে যাবে। উল্টো সুবিধা নেবে প্রতিযোগী দেশগুলো। কারণ তাদের সক্ষমতা বেড়ে যাবে। ফলে তাদের সঙ্গে পণ্য রপ্তানিতে টিকে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে।

বিশ্ব অর্থনীতির চলমান এ সংকটের মধ্যে গ্যাসের দাম না বাড়ানোর জন্য সরকারে কাছে আমরা আবেদন করব। আমরা চাই দাম আগের মতো যেন থাকে। শিগগিরই অফিসিয়ালি পুনরায় প্রস্তাব দেওয়া হবে।

dhakapost
পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হবে- বলছেন ব্যবসায়ীরা / ছবি- সংগৃহীত

দাম বাড়লে খরচ বাড়বে— এটাই স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক খাতের আরেকটি সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, শিল্প উৎপাদিত নিজস্ব বিদ্যুৎ-ক্যাপটিভের গ্যাসের দাম ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিটের নতুন দাম ১১ টাকা ৯৮ পয়সা, মাঝারি শিল্পে ১১ টাকা ৭৮ পয়সা এবং ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে করা হয়েছে ১০ টাকা ৭৮ পয়সা। যেটা বেড়েছে আপাতত দৃষ্টিতে সেটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

‘তবে বাস্তবায়নের তারিখ জুন থেকে না দিয়ে আগামী ছয় মাস পর দিলে ভালো হতো। কারণ আমাদের কাছে আগামী ছয় মাসের কাজের অর্ডার চলে এসেছে। এখন অর্ডারগুলো বাস্তবায়নে আমাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। বাড়তি মূল্য তো ধরা হয়নি।’
 
রোববার বিকেলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু ফারুক আবাসিক ও শিল্প খাতে নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, আবাসিকে এক চুলার বর্তমান দাম ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৮০ টাকা করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের দর ঘনমিটারপ্রতি ৪ দশমিক ৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে। সিএনজির দাম ৪৩ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।

সার উৎপাদনে সবচেয়ে বেশি ২৫৯ শতাংশ, বৃহৎ শিল্পে ১১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে। গড়ে ২২ দশমিক ৭৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।

বিইআরসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম পুনর্নির্ধারণের জন্য চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন প্রস্তাবনা আসে। ২১ থেকে ২৪ মার্চ শুনানি গ্রহণ করা হয়। ৭ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি-পরবর্তী লিখিত মন্তব্য নেওয়া হয়। শুনানি পর্যালোচনা করে আইন অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে।