NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ৪, ২০২৫ | ২০ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

চীনে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টিকটক প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং


খবর   প্রকাশিত:  ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম

চীনে সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টিকটক প্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং

বিশ্বজুড়ে টিকটকের ব্যাপক জনপ্রিয়তার ফলে এর মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ঝ্যাং ইমিং এখন চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। হুরুন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি করা ধনী ব্যক্তিদের তালিকা অনুযায়ী, তার সম্পদ এখন ৪৯.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৪৩ শতাংশ বেশি।

৪১ বছর বয়সী ঝ্যাং ২০২১ সালে বাইটড্যান্সের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান। তবে ধারণা করা হয়, কম্পানির প্রায় ২০ শতাংশ মালিকানা তার দখলে।

আর টিকটকও এখন বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে অন্যতম। যদিও কিছু দেশে চীনা সরকারের সঙ্গে অ্যাপটির সংযোগ নিয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে। বাইটড্যান্স ও টিকটক—উভয়ই স্বতন্ত্র থাকার দাবি করলেও যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে বাইটড্যান্সকে টিকটক বিক্রি করতে বলেছে। না হলে দেশটিতে এই অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হবে।

 

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ সত্ত্বেও বাইটড্যান্সের বৈশ্বিক মুনাফা গত বছর ৬০ শতাংশ বেড়েছে, যা ঝ্যাং ইমিংয়ের ব্যক্তিগত সম্পদ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে। হুরুনের প্রধান রুপার্ট হুগওয়ার্ফ বলেন, ঝ্যাং ইমিংয়ের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হওয়া চীনের অর্থনীতির গতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়।

প্রযুক্তি খাতে সম্পদের উত্থান
এদিকে ঝ্যাং ইমিংই একমাত্র চীনের বৃহৎ প্রযুক্তি খাতের ধনী প্রতিনিধি নন। টেনসেন্টের প্রধান পনি মা তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন, যার সম্পদ ৮৮.৮ বিলিয়ন পাউন্ড।

 

 

তাদের সম্পদ শুধু তাদের কম্পানির সাফল্যের ফল নয়, বরং তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরাও কম আয় করেছেন, বিশেষ করে এমন একটি বছরে, যখন চীনের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তালিকার প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যক্তির সম্পদ বেড়েছে, বাকিদের সম্পদ কমেছে।

হুগওয়ার্ফ বলেন, স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী, যেমন শাওমির জন্য বছরটি ভালো গেলেও, সবুজ জ্বালানি বাজার কিছুটা পিছিয়েছে। সোলার প্যানেল, লিথিয়াম ব্যাটারি ও বৈদ্যুতিক যানবাহন (ইভি) নির্মাতাদের জন্য এটি ছিল চ্যালেঞ্জিং এক বছর। প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার ফলে অতিরিক্ত সরবরাহ সৃষ্টি হয়েছে এবং শুল্কবৃদ্ধির হুমকি অনিশ্চয়তা আরো বাড়িয়েছে।

সোলার প্যানেল নির্মাতাদের সম্পদ ২০২১ সালের শীর্ষ বিন্দু থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ কমে গেছে। আর ব্যাটারি ও ইভি প্রস্তুতকারীদের সম্পদ যথাক্রমে অর্ধেক ও এক-চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়েছে।

 

সূত্র : বিবিসি