NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

কী আছে জেলেনস্কির ‘বিজয় পরিকল্পনা’য়


খবর   প্রকাশিত:  ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ০৩:২৮ পিএম

কী আছে জেলেনস্কির ‘বিজয় পরিকল্পনা’য়

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এই সপ্তাহে তার ‘বিজয় পরিকল্পনা’ দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের সামনে উপস্থাপন করছেন, যার লক্ষ্য রাশিয়াকে একটি ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি মেনে নিতে বাধ্য করা।

পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা প্রকাশ করা হয়নি এবং এর বেশ কিছু অংশ গোপন রাখা হবে। তবে জেলেনস্কি কিয়েভে আইন প্রণেতাদের সামনে এর মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। এখন পর্যন্ত এ পরিকল্পনা সম্পর্কে যা জানা গেছে :

ন্যাটো সদস্য পদ
জেলেনস্কির ভাষণ অনুযায়ী, ইউক্রেনকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোটে যোগদানের আমন্ত্রণ পাওয়াই পরিকল্পনার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।

 

 

তিনি বলেছেন, ‘কয়েক দশক ধরে রাশিয়া ইউরোপের ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাকে কাজে লাগিয়েছে, বিশেষ করে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য না হওয়ার সুযোগ নিয়েছে। এই কারণেই রাশিয়া আমাদের নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপ করার সাহস পেয়েছে।’

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট বারবার বলেছেন, ন্যাটোতে যোগদান শুধু ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাড়াবে না, বরং ইউরোপ ও পুরো পশ্চিমাবিশ্বের নিরাপত্তা জোরদার করবে।

প্রতিরক্ষা
‘বিজয় পরিকল্পনার’ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কিয়েভের মিত্ররা যেন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভেতরের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে দূরপাল্লার অস্ত্র দিয়ে আঘাত হানার অনুমতি দেয়।

 

জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেনকে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে স্থল অভিযান চালিয়ে যেতে হবে। সেখানে আগস্টে ইউক্রেন আকস্মিক হামলা চালিয়ে অনেক এলাকা দখল করেছে। 

তিনি আরো বলেন, মিত্র দেশগুলো যেন ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করে, যাতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা করা যায়। পাশাপাশি বিদেশে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তিনি।

 

 

অপারমাণবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা
পরিকল্পনার তৃতীয় বিষয়টি ভবিষ্যতে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিরোধের ওপর ভিত্তি করে। বিষয়টি পুরোপুরি পরিষ্কার নয় এবং এতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ‘গোপন’ সংযোজন রয়েছে, যা কেবল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতাদের জানানো হয়েছে। 

জেলেনস্কি আইন প্রণেতাদের বলেন, ইউক্রেন একটি ‘সম্পূর্ণ অপারমাণবিক কৌশলগত প্রতিরোধ প্যাকেজ’ চায়, যা তার ভূখণ্ডে মোতায়েন করা হবে। 

তিনি আরো বলেন, ‘রুশ নেতৃত্ব কেবল তখনই আগ্রাসী আচরণ করে, যখন তারা নিশ্চিত হয়, তাদের ওপর যথাযথ ধ্বংসাত্মক প্রতিক্রিয়া আসবে না।’

অর্থনৈতিক শক্তি
পরিকল্পনার চতুর্থ দিকটি ইউক্রেনের প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশেষ করে ‘ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের গুরুত্বপূর্ণ ধাতু’ রক্ষার ওপর ভিত্তি করে।

 

জেলেনস্কি জানান, এই অংশেও একটি গোপন সংযোজন রয়েছে, যা কেবল ইউক্রেনের মিত্রদের জানানো হবে। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদগুলোর যৌথ সুরক্ষা, বিনিয়োগ ও ব্যবহার নিয়ে একটি বিশেষ চুক্তি করে। 

তিনি বলেন, ‘এই চুক্তি রাশিয়ার ওপর বিদ্যমান অর্থনৈতিক চাপ ব্যবস্থা, বিশেষ করে আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞাকে জোরদার করবে।’

যুদ্ধপরবর্তী সময়
পরিকল্পনার চূড়ান্ত অংশটি যুদ্ধপরবর্তী সময় নিয়ে, যখন ‘ইউক্রেন বিশ্বের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও বৃহত্তম সামরিক বাহিনীগুলোর একটি হয়ে উঠবে।’

এই অংশে জেলেনস্কি প্রথমবারের মতো মিত্রদের কাছে সাহায্যের আহ্বান না জানিয়ে বরং তাদের জন্য সম্পদ প্রদানের প্রস্তাব করেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের মিত্ররা রাজি হলে, ইউরোপে মোতায়েনকৃত যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর কিছু ইউনিটকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের পরিকল্পনা করছি।’