NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

আমাদের শত্রু এক, বিরল খুতবায় বললেন খামেনি


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ অক্টোবর, ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম

আমাদের শত্রু এক, বিরল খুতবায় বললেন খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আজ শুক্রবার জুমার খুতবা দিয়েছেন। পাঁচ বছরের মধ্যে এই প্রথম তিনি খুতবা দিয়েছেন। খুতবার শুরুতেই পারসি ভাষায় খামেনি পবিত্র গ্রন্থ কোরআনের নীতির ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের একতার ওপর জোর দেন। এতে তিনি বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের এক হওয়ার বার্তা দেন।

ইসরায়েলে ইরানের হামলার প্রশংসা করে তা পুরোপুরি বৈধ বলেও অভিহিত করেন।

 

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইরান, ফিলিস্তিন, লেবানন, মিসর, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনের ‘শত্রু এক’ বলেছেন । তিনি বলেছেন, এই শত্রুপক্ষ মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন ও ঘৃণার বীজ বপন করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রুদের গৃহীত নীতিগুলো বিভাজন এবং রাষ্ট্রদ্রোহের বীজ বপন করে সব মুসলমানের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করা।

তারা ফিলিস্তিন, লেবানন, মিসর এবং ইরাকিদের একই শত্রু। তারা ইয়েমেনি এবং সিরিয়ার জনগণের শত্রু।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের শত্রু এক।’

 

খামেনিকে একনজর দেখতে তেহরানে এই খুতবায় কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল।

মুসল্লিদের কারো কারো হাতে হিজবুল্লাহর সবুজ ও হলুদ পতাকা ছিল। আবার কারো কারো হাতে ছিল ফিলিস্তিনের পতাকা এবং নিহত নেতাদের প্রতিকৃতি।

 

খামেনি বলেন, আগ্রাসনকারীদের হাত থেকে আত্মরক্ষা করার অধিকার প্রতিটি দেশের রয়েছে। মুসলিম দেশগুলোকে তাদের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। 

খামেনি আরো বলেন, দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং ইরানের সাম্প্রতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ছিল ‘আইনি ও বৈধ’।

এ সময় উল্লাসকারী জনতাকে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দেশ, প্রতিটি মানুষের চূড়ান্ত অত্যাচারের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার চূড়ান্ত অধিকার রয়েছে।’

 

তিনি ফিলিস্তিনের পক্ষেও বক্তব্যে বলেন, তার দেশ ইসরায়েলের মোকাবেলায় ‘তার দায়িত্ব পালনে বিলম্ব বা তাড়াহুড়া করবে না’। 

খামেনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মরক্ষার বৈধ অধিকার রয়েছে। সেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে, সেই দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে তারা। এমন কোনো একক আদালত বা আন্তর্জাতিক সংস্থা মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য শুধু ফিলিস্তিনি জনগণকে দোষারোপ করতে পারে না।’

খামেনি বলেন, ইসরায়েলকে সমর্থনকারী বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ এই অঞ্চলের সবচেয়ে চাপের বিষয়। ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ‘ইহুদিপন্থী’ শাসনকে ৭০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। কারণ তারা এখন  টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে যেমন নিজেদের প্রতিষ্ঠার সময় করেছিল। তিনি লেবাননের জনগণকে হতাশ না হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। 

তেহরানের ইমাম খোমেনি মোসাল্লা মসজিদে খামেনি অনেক বছর পর জনসমক্ষে বিরল এই খুতবা দেন।