NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা ট্রাম্পের হুমকিতে কখনোই নতি স্বীকার করবে না কানাডা সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক
Logo
logo

নেতানিয়াহুর দুই মানচিত্রের কোথাও নেই ফিলিস্তিন


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১০:২৬ পিএম

নেতানিয়াহুর দুই মানচিত্রের কোথাও নেই ফিলিস্তিন

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় দুটি মানচিত্র দেখিয়েছেন। শুক্রবারের ওই ভাষণে দেখানো দুটো মানচিত্রের কোথাও ছিল না ফিলিস্তিন। 

এনডিটিভি জানায়, একটি মানচিত্রে সবুজ রঙ দিয়ে কিছু দেশকে ‘আশীর্বাদ’ এবং আরেকটি মানচিত্রে কিছু দেশকে কালো রঙ দিয়ে চিহ্নিত করে ‘অভিশাপ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। দুই মানচিত্রে যে বিষয়টি সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল, তা হল ফিলিস্তিনকে সম্পূর্ণ মুছে ফেলা।

নেতানিয়াহুর ডান হাতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে কালো রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনকে। এই দেশগুলোকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন তিনি। অর্থাৎ এসব দেশ ইসরায়েলের জন্য হুমকি। অন্যদিকে বাঁ হাতে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে সবুজ রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে মিসর, সুদান, সৌদি আরব ও ভারতকে।
এসব দেশকে আশীর্বাদ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। অর্থাৎ এই দেশগুলো ইসরায়েলের জন্য হুমকি নয়। তবে উভয় মানচিত্রের মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্ট ছিল ফিলিস্তিনের অনুপস্থিতি। সবুজ বা কালো কোনো মানচিত্রেই ফিলিস্তিনের অস্তিত্বের কোনো উল্লেখ ছিল না।

 

অধিবেশনে অভিশপ্ত দেশগুলো এবং ইরানের প্রভাবের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের জন্য ইরান ও এর মিত্ররা দায়ী। অন্যদিকে সবুজ রঙে চিহ্নিত দেশগুলো ইসরায়েলের মিত্র বা সম্ভাব্য মিত্র। এসব দেশের কোনোটির সঙ্গে ইসরায়েলের স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে, আবার কোনোটি সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রক্রিয়ায় আছে।

জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনে অব্যাহত সহিংসতার জন্য ইরানকে দায়ী করেন নেতানিয়াহু।

লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজার হামাস এবং ইয়েমেনের হুতিদের ইরানের আর্থিক ও সামরিক সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরান সমর্থিত যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে একাধিক ফ্রন্টে নিজেকে রক্ষা করে চলেছে।

 

ইরানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, আপনারা যদি আমাদের আক্রমণ করেন, তাহলে আমরাও আপনাদের আক্রমণ করব।

প্রয়োজনে ইসরায়েলের প্রতিরোধ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে প্রসারিত হতে পারে। নেতানিয়াহু ভাষণ দেওয়ার সময় কয়েক শ কূটনীতিক প্রতিবাদ জানিয়ে বাইরে চলে যান। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশেষ করে লেবানন ও গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান ইরানের আগ্রাসনের জবাব। যত দিন হিজবুল্লাহ যুদ্ধের পথ বেছে নেবে, তত দিন ইসরায়েলের এই হুমকি দূর করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।