NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ৬, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরায়েল-সৌদি আরব চুক্তি সম্ভব?


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ জুলাই, ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম

মার্কিন নির্বাচনের আগেই ইসরায়েল-সৌদি আরব চুক্তি সম্ভব?

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি এখনো সম্ভব। একজন শীর্ষ ইসরায়েলি কর্মকর্তা শুক্রবার এ কথা বলেছেন বলে টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

ওই অঞ্চলে ইরানের প্রভাব সীমিত করার প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, যদি এ পদক্ষেপের প্রভাব তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে নির্বাচনের আগেও সম্পর্কের বিকাশ সম্ভব।

ইসরায়েল ও সৌদি আরবের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 


 

টাইমস অব ইসরায়েলের মতে, এই মাসের শুরুতে মার্কিন ও ইসরায়েলি সূত্রের আগের বিবৃতিগুলোর সঙ্গে এই মূল্যায়ন বিপরীত। নভেম্বরে নির্বাচনের আগে এই দুই দেশের মধ্যে চুক্তির সম্ভাবনা নেই বলে এর আগে বলা হয়েছিল।


 

সেই সঙ্গে কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ সূত্রগুলো এই মাসের শুরুতে টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছিল, নির্বাচনের আগে এই দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করা অসম্ভাব্য।

কারণ রিয়াদের জন্য ওয়াশিংটনের কাছ থেকে নিরাপত্তা প্যাকেজ অনুমোদনের জন্য কংগ্রেসের হাতে যথেষ্ট সময় নেই, যা বাইডেন প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ। একই সঙ্গে তারা নির্বাচনের ও পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিষেকের মধ্যে চুক্তির সম্ভাবনা সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার না করলেও তা অত্যন্ত অসম্ভাব্য বলে উল্লেখ করেছে। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ ‘সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়নি’।

 


 

এ ছাড়া তারা স্বীকার করেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি না হলে কোনো চুক্তি অসম্ভব।

এই শর্তটি মার্কিন ও সৌদি কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে গুরুত্ব সহকারে বলেছেন। তারা বুঝতে পারছেন, যদি গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ চলতে থাকে, তাহলে রিয়াদ দেশে বা ওই অঞ্চলে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি করতে পারবে না।

 

অন্যদিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত এপ্রিল মাসে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছিলেন, তার দেশ ‘ইসরায়েলের প্রতি আগের অবস্থানে দৃঢ়, এবং স্বীকৃতি শুধু দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের দিকে অপরিবর্তনীয় পথ অবলম্বন করার পরই আসবে।’

রাষ্ট্রদূত রীমা বিনতে বান্দর আল-সৌদ সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ‘রিয়াদ ফিলিস্তিনিদের জন্য বাস্তব প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনো চুক্তি স্বাক্ষর করবে না।’ দ্বিরাষ্ট্র সমাধান চূড়ান্ত, স্পষ্ট ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হতে হবে উল্লেখ করে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা এখনো নাগালের মধ্যে রয়েছে, তবে এটির জন্য একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

 

এ ছাড়া সৌদি টিভি চ্যানেল আল শরক অনুসারে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান সম্প্রতি বলেছেন, সময় এসেছে দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের দিকে সব প্রচেষ্টার ওপর নজর দেওয়ার।