NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

বিয়ের বাজার করতে গিয়ে সড়কে প্রাণ হারালেন প্রবাসী যুবক


খবর   প্রকাশিত:  ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৯:১৫ পিএম

বিয়ের বাজার করতে গিয়ে সড়কে প্রাণ হারালেন প্রবাসী যুবক

বিয়ে উপলক্ষে চার দিন আগে দেশে ফিরে আসেন সৌদিপ্রবাসী জুয়েল মাহমুদ (৩৪)। আগামী ২৪ জুলাই তার বিয়ে হওয়ার কথা। এ জন্য দেশে ফিরেই শুরু করেন বিয়ের জন্য কেনাকাটা। কিন্তু তার আর বিয়ে করা হলো না।

আজ বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন তিনি। এদিন  বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

নিহত জুয়েল উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের পূর্ব ধর্মপুর গ্রামের মো. শাহাজানের ছেলে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জুয়েলের মা-বাবা ও স্বজনরা।

তাদের আহাজারিতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

পরিবার সূত্রে জানা যায়, সৌদিপ্রবাসী জুয়েলের সঙ্গে একই উপজেলার এক মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। এমনকি তাদের মোবাইলে আকদও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৪ জুলাই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বউকে ঘরে তোলার প্রস্তুতি চলছিল।

বুধবার বিয়ের কেনাকাটা করতে সীতাকুণ্ড পৌর সদরে আসেন জুয়েল। কেনাকাটা শেষে বাসায় ফেরার সময় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাকে অজ্ঞাত গাড়ি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 

 

বারৈয়াঢালার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রেহান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ছেলেটি বিয়ে করতে দেশে এসেছে। আকদ হয়ে যাওয়া স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে আনার আয়োজন চলছিল।

কিন্তু এর আগেই গাড়িচাপায় মারা গেল সে। খবর পেয়ে আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সেখানে শোকের মাতম চলছে।’ 

 

কুমিরা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই লাশ বাড়িতে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। এ জন্য আমরা বিস্তারিত তথ্য পাইনি।’

এদিকে দুর্ঘটনার পরে একমাত্র ছেলের লাশ বাড়ি পৌঁছানোর পর পাগলের মতো প্রলাপ বকছেন জুয়েলের মা-বাবা। তাদেরকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন স্বজনরা। সবার এককথা, একি হয়ে গেল। কী করে এই শোক সইবেন হতভাগ্য মা-বাবা। 

এলাকার লোকজন জানায়, যে বাড়িতে শানাই বাজার প্রস্তুতি চলছিল, সেখানে এখন মা-বাবার গগন বিদারী আর্তনাদ। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই কারো।