NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

১৬ প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার অনুমতি দিল সিঙ্গাপুর


খবর   প্রকাশিত:  ১০ জুলাই, ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম

১৬ প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার অনুমতি দিল সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরে ১৬ প্রজাতির পোকামাকড় খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ গবেষণার পর এসব পোকামাকড় মানুষের খাদ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে সিঙ্গাপুরের খাদ্য সংস্থা (এসএফএ)। এ ঘোষণায় বেশ খুশি হয়েছেন দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকা দেশটির রেস্তোরাঁ মালিকরা।

এসএফএ-এর এ তালিকায় রয়েছে ঝিঁঝিপোকা, ঘাসফড়িং, পঙ্গপাল, রেশম পোকা, গ্রাউন্ড মেলওয়ার্ম, নানা ধরনের মথ ও লার্ভা, এক প্রজাতির মৌমাছিসহ ১৬ প্রজাতির পোকামাকড়।

এসব পোকামাকড় মানবদেহের জন্য নিরাপদ মনে করা হচ্ছে। প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এ সিদ্ধান্ত বেশ কাজ আসতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

 

সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটিতে অনুমতিপ্রাপ্ত পোকামাকড় খাওয়ার জন্য উৎপাদন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা যাবে। তবে বন-জঙ্গল থেকে ধরে আনা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উৎপাদন করা পোকামাকড়ই কেবল খাওয়া যাবে। আমদানির ক্ষেত্রেও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে সিঙ্গাপুরের মানদণ্ড মানতে হবে। 

 

এ সব প্রক্রিয়াজাত পোকামাকড় মানুষের খাদ্য উৎপাদনকারী পশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। যেসব পোকামাকড় ১৬ প্রজাতির মধ্যে নেই সেগুলো খাওয়ার জন্য নিরাপদ কি না তা পরীক্ষা করতে হবে বলে সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

এছাড়াও প্রক্রিয়াজাত পোকামাকড় বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলোকে লেভেলিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতার কথা বলেছে সংস্থাটি। 

 

এ ঘোষণায় অধিবাসীদের একটি অংশ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। কারণ চীন, জাপানসহ অন্যান্য দেশ থেকে আসা অনেকের পছন্দ এসব কীটপতঙ্গ। স্ট্রেইটস টাইমসের মতে, সিঙ্গাপুরের রেস্তোরার মালিক ও খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চীন, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে পোকামাকড় আমদানীর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ও ক্যাফে মালিক তাদের প্রস্তুতি শুরু করেছে।

বিক্রি বৃদ্ধি ও ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে পারবে বলে তারা আশা করছে। 

 

হাউস অফ সি ফুড রেস্তোরাঁর মালিক ফ্রান্সিস এনজি জানান, তিনি ৩০টি পোকামাকড়যুক্ত খাবারের একটি মেন্যু তৈরি করছেন। এসব খাবারের বিক্রি থেকে আয় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে তার আশা।

চ্যানেল নিউজ এশিয়ার মতে, ঝিঁঝিপোকা, পঙ্গপাল, রেশম পোকা ও ঘাসফড়িংয়ে অনেক প্রোটিন রয়েছে। এই পোকাগুলোতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আয়রন, জিঙ্ক, কপার ও ম্যাগনেসিয়াম সহ বিভিন্ন খনিজ রয়েছে।