NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, মে ৭, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
ভবিষ্যতে এমন হামলার চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা অর্ডিন্যান্স আকারে আইন করে বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস গঠনের সুপারিশ মালয়েশিয়া সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হামজা-শামিত জুটি সম্ভাবনার আরেক ধাপ অগ্রগতি কোরবানির চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ - প্রধান উপদেষ্টা মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীকে পুলিশে দিলো শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলে বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর ফ্লাইট বাতিলের হিড়িক তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা চান না ট্রাম্প বাংলাদেশি হিসেবে রিশাদের রেকর্ডের দিনে লাহোরের হার ভারতীয় অনুরাগীদের মন্তব্যে হানিয়া বললেন ‘আমি কেঁদে ফেলব’
Logo
logo

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার রাশিয়ায় নরেন্দ্র মোদি


খবর   প্রকাশিত:  ০৯ জুলাই, ২০২৪, ০৪:৩৪ পিএম

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবার রাশিয়ায় নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার রাশিয়ায় পৌঁছেছেন। তিনি মস্কোর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক বজায় রাখা এবং পশ্চিমা নিরাপত্তা সম্পর্কের আরো ঘনিষ্ঠতার মধ্যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য রক্ষা করছেন। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু এবং গত মাসে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর মোদির প্রথম সফর এটি।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলো সোমবার বিকেলে নিশ্চিত করে, ‘ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদি একটি সরকারি সফরে রাশিয়ায় পৌঁছেছেন।

 

মোদি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সব দিক পর্যালোচনা এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময়ের অপেক্ষায় আছি। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অঞ্চলের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চাই।’


 

মস্কো বর্তমানে ভারতে কম দামের তেল ও অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী। তবে পশ্চিমাবিশ্ব থেকে ক্রেমলিনের বিচ্ছিন্নতা এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব মস্কো ও নয়াদিল্লির অংশীদারকে প্রভাবিত করেছে।

চীন ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের বিরুদ্ধে বাঁধা দিতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পশ্চিমা শক্তিগুলো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। একই সঙ্গে রাশিয়া থেকে নিজেকে দূরে রাখতে দেশটিতে চাপ দিয়েছে।

 

মোদি ২০১৯ সালে শেষবার রাশিয়া সফর করেছিলেন। তার দুই বছর পর পুতিনকে নয়াদিল্লিতে স্বাগত জানান তিনি, রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে।

ভারত তখন থেকেই রাশিয়ার সুস্পষ্ট নিন্দা থেকে সরে এসেছে এবং মস্কোকে নিন্দা করে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো থেকে বিরত থেকেছে।

 

এদিকে ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার লড়াইয়ে ভারতের জন্য মানবিক মূল্যও রয়েছে। নয়াদিল্লি ফেব্রুয়ারিতে বলেছিল, তারা ক্রেমলিনকে তাদের কিছু নাগরিককে ফেরত পাঠানোর জন্য চাপ দিচ্ছে, যারা রুশ সামরিক বাহিনীতে সহায়ক হিসেবে চাকরি শুরু করেছিলেন। এর আগে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে বাধ্য হওয়ার পরে কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।

এ ছাড়া চীনের সঙ্গে মস্কোর গভীর সম্পর্কও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাশিয়ার সামরিক শিল্পকে শক্তিশালী করার মতো উপাদান ও সরঞ্জাম বিক্রির জন্য ওয়াশিংটন ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনকে অভিযুক্ত করেছে। তবে এ অভিযোগ বেইজিং কঠোরভাবে অস্বীকার করে।

 

চীন ও ভারত দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের জন্য তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে কোয়াড গ্রুপিংয়ের অংশ ভারত, যা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান দৃঢ়তার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।