NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

কিয়ার স্টারমার: আইনজীবী থেকে প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ০৬ জুলাই, ২০২৪, ১১:৩৮ পিএম

কিয়ার স্টারমার: আইনজীবী থেকে প্রধানমন্ত্রী

নিজেকে প্রায়ই ‘কর্মজীবী শ্রেণি’ পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার (৬১)। এবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই লেবার পার্টি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কিয়ার স্টারমারই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। চার বছর আগে দলের সবচেয়ে টালমাটাল সময় লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেন স্টারমার।

 

দলটির তৎকালীন প্রধান কট্টর বামপন্থী রাজনীতিবিদ জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
লেবার পার্টি১৯৬২ সালে লন্ডনে জন্ম স্টারমারের। পরিবারের চার সন্তানের মধ্যে একজন স্টারমার। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের সারেতে তিনি বেড়ে ওঠেন।

 

তাঁর বাবা কারখানার সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক হিসেবে কাজ করতেন এবং মা ছিলেন নার্স। তার পরিবারও কট্টর লেবার পার্টির সমর্থক ছিল, যার প্রতিফলন পাওয়া যায় তাঁর নামে। স্কটিশ খনি শ্রমিক কিয়ার হার্ডির নামানুসারে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল। লেবার পার্টির প্রথম নেতা ছিলেন কিয়ার হার্ডি।

 

স্কুলের পাঠ চুকিয়ে লিডস ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়ালেখা করেন স্টারমার। তাঁর পরিবারে তিনিই ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া প্রথম ব্যক্তি। ১৯৮৭ সালে তিনি ব্যারিস্টার হন এবং মানবাধিকার আইনে কাজ ও বিশেষ পড়াশোনা করেন। দীর্ঘ ২০ বছর মানবাধিকার আইনজীবী হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। তিনি ক্যারিবীয় ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বন্দিদের মৃত্যুদণ্ড রোধে কাজ করেছিলেন।

 

২০০৮ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস পাবলিক প্রসিকিউশনের পরিচালক নিযুক্ত হন স্টারমার। যুক্তরাজ্যের ব্যবস্থা অনুযায়ী, এটাই ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ফৌজদারি প্রসিকিউটরের শীর্ষ পদ। ২০১৪ সালে ফৌজদারি বিচারপ্রক্রিয়ায় অবদান রাখায় ‘নাইট’ উপাধি পান স্টারমার।
আইনজীবী হিসেবে বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের পর রাজনীতিতে নাম লেখান স্টারমার। সংসদ সদস্য হয়েছেন পঞ্চাশের কোঠায় এসে। তবে রাজনীতির প্রতি তাঁর বরাবরই আগ্রহ ছিল। যুবা অবস্থায় তিনি বামপন্থী রাজনীতির প্রতি ঝুঁকে যান। ২০১৫ সালে উত্তর লন্ডনের হলবোর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস নির্বাচনী এলাকায় প্রথম এমপি নির্বাচিত হন স্টারমার। 

২০১৯ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির বড় পরাজয়ের পর ‘নতুন যুগ’ শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নেতৃত্ব নেন স্টারমার। গত বৃহস্পতিবার একই আসনে জয় পেয়েছেন স্টারমার। ব্যক্তিগত জীবনে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) একজন পেশাদার থেরাপিস্ট ভিক্টোরিয়া আলেজান্ডারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন স্টারমার। এই দম্পতির এক ছেলে ও মেয়ে আছে। এ ছাড়া খেলাধুলাও বেশ ভালোবাসেন স্টারমার। রাজনীতির মাঠে জিতে যাওয়া স্টারমার ফুটবল খেলায় পারদর্শী। নিজেকে কঠোর নিয়মানুবর্তিতার মধ্যে থাকা এক মানুষ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন স্যার কিয়ার স্টারমার।