NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, জুন ১৮, ২০২৫ | ৪ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

ইউরো ২০২৪ এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি বড় তারকারা


খবর   প্রকাশিত:  ২৯ জুন, ২০২৪, ০৩:৫৭ এএম

ইউরো ২০২৪ এখনো জ্বলে উঠতে পারেননি বড় তারকারা

এখন পর্যন্ত পাঁচটি বিশ্বকাপ খেলেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। এবারের আগে ইউরোর চ্যাম্পিয়নশিপেরও পাঁচটি আসরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পর্তুগালকে। দশটি বড় মঞ্চের গ্রুপপর্বেই গোল করার বিরল কীর্তি ছিল রোনালদোর দখলে। অবশেষে কোনো মেজর টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্বে গোলের দেখা পেলেন না পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী তারকা।

চলমান ইউরোতে প্রথম তিন ম্যাচে মেলেনি তাঁর পায়ে গোল। তবে নক আউটে গোল পেলেই নতুন কীর্তি গড়বেন রোনালদো, সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোতে গোল করে রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম তুলবেন। শুধু রোনালদোই নন, ক্লাব ফুটবল মাতিয়ে আসা আরও কয়েকজন তারকার এবারের ইউরোর শুরুটা ভালো হয়নি। কিলিয়ান এমবাপ্পে, জুড বেলিংহাম, হ্যারি কেইন, রবার্ত লেভানদোস্কি, রোমেলু লুকাকুরা নেই সেরা ছন্দে।

 

ফ্রান্সের প্রথম ম্যাচেই বড় ধাক্কা খান এমবাপ্পে। অস্ট্রিয়া ম্যাচে নাক ভেঙে যাওয়ায় খেলতে পারেননি নেদারল্যান্ডস ম্যাচে। নাকে সুরক্ষা মাস্ক লাগিয়ে পোল্যান্ড ম্যাচে ফিরে পেনাল্টিতে গোল পেলেও এখনো এমবাপ্পের সেরাটা পায়নি ফরাসিরা। নক আউটে ২৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড জ্বলে উঠতে পারেন কিনা সেটাই এখন দেখার।

এমবাপ্পের সতীর্থ আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানও হতাশ করেছেন। এমবাপ্পের অনুপস্থিতিতে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে একাধিক সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি।

 

চোটের কারণে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলা হয়নি পোলিশ ফরোয়ার্ড রবার্ত লেভানদোস্কির। অস্ট্রিয়ার কাছে হারের ম্যাচে মাঠে নামলেও প্রভাব রাখতে পারেননি। টানা দুই ম্যাচ হারায় বিদায় নিশ্চিত হয় তাঁর দলের।

ফ্রান্সের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোল পেলেও তা শুধুই ছিল সান্ত্বনার। 

 

রিয়াল মাদ্রিদে স্বপ্নের মতো মৌসুম কাটিয়ে এসেছেন জুড বেলিংহাম। বায়ার্ন মিউনিখকে শিরোপা জেতাতে না পারলেও গোলের নতুন রেকর্ড গড়েছেন হ্যারি কেইন। দুজনই সার্বিয়ার বিপক্ষে শুরুর ম্যাচে গোল করলেও পরের দুই ম্যাচে উঁচু মানের পারফরম করতে পারেনি। তাতে ইংলিশরাও আর জয়ের দেখা পায়নি। যদিও পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়েই নক আউটে খেলছে তারা। 

বেলজিয়ামের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা রোমেলু লুকাকুও পারেননি জাল খুঁজে নিতে। সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েও তাঁর গোল না পাওয়া হতাশাই বলা যায়। যদিও তিনবার বল জালে পাঠিয়েছিলেন তবে প্রতিবারই ভিএআর পরীক্ষার পর তা বাতিল হয়ে যায়।

এবারের আসরে আত্মঘাতী গোল হয়েছে সবচেয়ে বেশি সাতটি। তিনটি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে। দুটি করে গোল আছে পাঁচজনের; জার্মানির জামাল মুসিয়ালা ও নিকলাস ফুলক্রুস, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, রোমানিয়ার রাজভান মারিন এবং স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রানজের।

ফাইনালসহ এখনো ১৫টি ম্যাচ বাকি আছে। সমর্থকদের আশা বড় তারকারা বাকি ম্যাচগুলোতে আলো ছড়াবেন।