NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

নাইজারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ


খবর   প্রকাশিত:  ০৪ মে, ২০২৪, ০৭:৫২ এএম

নাইজারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের বিমানঘাঁটিতে রুশ সেনাদের প্রবেশ

রুশ সামরিক কর্মীরা নাইজারে একটি বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। বিমানঘাঁটিটি রাজধানী নিয়ামির ডিওরি হামানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত। যেখানে মার্কিন সেনারা অবস্থান করছে বলে একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছে। 

একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, রাশিয়ান বাহিনী মার্কিন সেনাদের সমস্যার কারণ হচ্ছে না।

তারা বিমানবন্দরের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১-এ একটি পৃথক হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছে।

 

নাইজারের জান্তা সরকার সে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের রাখতে চাইছে না। গত বছর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নাইজারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। ক্ষমতা দখলের পরপরই জান্তা সরকার ওয়াশিংটনকে সে দেশে অবস্থান করা প্রায় এক হাজার মার্কিন সেনা সরিয়ে নিতে বলে।

যুক্তরাষ্ট্রও নাইজার থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের জন্য সম্মতি জানায়। তবে সেনা প্রত্যাহার কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এদিকে নিরাপত্তা বিষয়ে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে নাইজার।

 

রয়টার্সের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন আমেরিকান সেনাদের কোন ঝুঁকি বা রাশিয়ান সেনাদের মার্কিন সামরিক হার্ডওয়্যারের কাছাকাছি যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন।

হনলুলুতে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্টিন বলেন, ‘রাশিয়ানরা একটি পৃথক কম্পাউন্ডে রয়েছে এবং মার্কিন বাহিনীর কাছে বা আমাদের সরঞ্জামের কাছে প্রবেশের অনুমতি তাদের নেই।’

 

তিনি আরো বলেন, “আমি সবসময় আমাদের সেনাদের সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করি ... কিন্তু এই মুহূর্তে, আমি আমাদের বাহিনী সুরক্ষার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না।” ওয়াশিংটনে নাইজেরিয়ান এবং রাশিয়ান দূতাবাসগুলোর কাছে  এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা কোনো সাড়া দেয়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা কিছু গোষ্ঠীর অভ্যুত্থানের পর আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ থেকে তাদের সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে। নাইজার থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করতে যাচ্ছে, এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে চাদ ত্যাগ করেছে মার্কিন সেনারা।

এদিকে ফরাসি বাহিনীকেও মালি এবং বুর্কিনা ফাসো থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে রাশিয়া আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চাইছে। মস্কোকে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে দেখছে এই মহাদেশ।