খবর প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০১:৫২ পিএম
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একেবারেই ভালো সময় যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। হারের বৃত্ত ভেঙে কিছুতেই বের হতে পারছে না টাইগাররা। এজন্য কাঠগড়ায় অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সঙ্গে তার ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সও সুবিধাজনক নয়। এজন্য তাকে নেতৃত্ব থেকে অপসারণের দাবি ওঠে।
আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে রিয়াদকে। আর তিন মাস পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, অথচ খোদ অধিনায়ককেই বিশ্রাম?
বিশ্রাম শব্দটা হয়ত যুক্তিতর্কে মানা যেত যদি দল ভালো করতো, মাহমুদউল্লাহ নিজেও থাকতেন ছন্দে। তবে কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ‘বিশ্রাম’ পাওয়া এই অলরাউন্ডার একই সফরের ওয়ানডে স্কোয়াডে ঠিকই আছেন! দুইয়ে দুইয়ে মেলালে এটাকে ঠিক আর বিশ্রাম বলা যায় না। অধিনায়ক আর সিনিয়র হিসেবে ‘বিশ্রামের’ আড়ালে আদতে বাদই দেওয়া হয়েছে তাকে। যেমনভাবে বাদ পড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম, পাকিস্তান সিরিজে।
মাহমুদউল্লাহর জায়গায় জিম্বাবুয়ে সফরে নেতৃত্ব দেবেন নুরুল হাসান সোহান। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের কথায় পরিষ্কার, বিশ্রাম নয়, আসলে দল থেকে বাদই দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে।
আজ শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ’র সাথে বৈঠক করেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং অন্য দুই নির্বাচক হাবিবুল বাশার ও আব্দুর রাজ্জাক।
সেই বৈঠক শেষে সংবাদমাধ্যমকে সুজন বলেন, ‘যেহেতু আমরা টি-টোয়েন্টিতে ভালো করছি না, ভালো করলে বলতাম এটা পরীক্ষা। তাই এমন না, আমরা দেখতে চাচ্ছি নতুন ক্রিকেটাররা কি প্রমাণ করতে পারে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে কিনা, টি-টোয়েন্টিতে আমরা যেমন চাই সেটা করতে পারে কিনা তা দেখতে চাই।’
বাদ পড়ার আগে কিছু প্রশ্ন ছিল মাহমুদউল্লাহর। সুজন বলছিলেন, ‘আমরা রিয়াদের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। ওরা তো আইকন তাই ওদের একটা রেসপেক্টের ব্যাপার আছে। তো ওদের জন্য অপেক্ষা করেছি। ওদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের সঙ্গে কথা বলেই এই সিরিজে নতুন কিছু ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ তৈরি করা আরকি। রিয়াদ খুবই ইতিবাচকভাবে নিয়েছে জিনিসটা। ওর কিছু প্রশ্ন ছিল আমরা সেগুলোর উত্তর দিয়েছি। কিন্তু সে বেশ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে।’