NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, জুন ১৭, ২০২৫ | ৩ আষাঢ় ১৪৩২
Logo
logo

‘ছেলেদের মৃত্যু যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে প্রভাবিত করবে না’


খবর   প্রকাশিত:  ১১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৭:১৪ পিএম

‘ছেলেদের মৃত্যু যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে প্রভাবিত করবে না’

ইসরায়েলি বিমান হামলায় তিন ছেলের মৃত্যু গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনাকে প্রভাবিত করবে না বলে জানিয়েছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা জানান। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির জন্য কায়রোতে আলোচনা চলছে, তবে অগ্রগতির কোনো লক্ষণ নেই। এর মধ্যেই ইসমাইল হানিয়াহ জানান, তার তিন ছেলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন।

 

কাতারভিত্তিক চ্যানেল আল-জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় হানিয়াহ বলেন, যে হামলায় তার চার নাতি-নাতনিসহ তিন ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে, তা আসলে হামাসের আলোচনার (যুদ্ধবিরতি) অবস্থান পরিবর্তন করার একটি প্রচেষ্টা ছিল। তিনি আরো বলেন, ‘তারা যদি মনে করে থাকে, এই হামলা চালিয়ে হামাসকে তাদের অবস্থান থেকে সরাতে পারে, তাহলে তা ভুল।’ 

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘হামাসকে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিষয়ে আগাতে হবে।’ তবে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ওপর যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গাজা উপত্যকায়, বিশেষ করে ভূখণ্ডের দক্ষিণে হামলা চালিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। রবিবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনা চলছে। দোহায় হামাসের মুখপাত্র হোসাম বদরান এএফপিকে বলেছেন, ‘হামাসের উপস্থাপিত প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চলছে... তারা এখনো সাড়া দেয়নি।’

 

এর আগে ঈদের দিন গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও বেশ কয়েকজন নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়ে গতকাল বুধবার আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

গাজায় হামাস-সংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ের তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়ে এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন। পরে কাতারে অবস্থানরত হানিয়ে আল-জাজিরাকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে জানান, যুদ্ধের মধ্যে তাঁর ছেলে গাজায় অবস্থান করছিলেন। গাজাভিত্তিক ওই বার্তা সংস্থা প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের মধ্যে পড়ে থাকা কয়েকটি মরদেহ ঢেকে রাখা হয়েছে।

 

ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। তাঁর আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হন। ইসমাইল হানিয়ে কাতারের দোহার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফিলিস্তিনিদের দেখতে গেলে তাঁকে স্বজনদের নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়। গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ের ছেলে, নাতি-নাতনিরা। এ সময় ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েলি জঙ্গিবিমান থেকে হামলা চালানো হয়।