NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫ | ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সমন্বিত অর্থনৈতিক কৌশল গঠনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার পুলিশের হাতে আর মারণাস্ত্র থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইউক্রেন শান্তি আলোচনার আগে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা তুরস্কে সংঘাত অবসানের সম্ভাবনা, অস্ত্র ত্যাগের ঘোষণা পিকেকের টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েই ফেললেন কোহলি যমজ সন্তানের মা হলেন আম্বার হার্ড প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা তুরস্ক যে কারণে প্রকাশ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে জেলেনস্কিকে অবিলম্বে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বললেন ট্রাম্প কাশ্মীর হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নীরাবতা ভাঙলেন অমিতাভ
Logo
logo

পাকিস্তানের বন্দরে হামলা, সেনাসহ নিহত ১০


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:১৮ এএম

পাকিস্তানের  বন্দরে হামলা, সেনাসহ নিহত ১০

পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের একটি হামলা রুখে দিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এ ঘটনায় আট বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুই পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা সায়ীদ আহমেদ উমরানি জানান, ‘স্থানীয় সময় বুধবার বন্দর কর্তৃপক্ষের চত্বরে গোয়েন্দা সংস্থা ও আধাসামরিক বাহিনীর দপ্তরে আক্রমণ শুরু করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী তাদের রুখে দিতে সক্ষম হয়।’ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর গোলাগুলি শুরু করে। 

 

অন্যদিকে প্রদেশটির মূখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ দেওয়া বার্তায় বলেছেন, ‘যারা সহিংসতা বেছে নেবে তাদের এ দেশে কোনো দয়া দেখানো হবেনা। পাকিস্তানের সাহসী বীররা পাকিস্তানের স্বার্থে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে গেছে।

’ পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘হামলায় দুই সেনা নিহত হয়েছে এবং বন্দরে মোতায়েন থাকা সেনারা সফলভাবে হামলা রুখে দিয়েছে।’ 

 

পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) এক সামরিক বিভাগ মাজিদ ব্রিগেড এ হামলার দায় স্বীকার করেছে। তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,‘ তাদের হামলার লক্ষ্য ছিলো কমপ্লেক্সের ভেতর থাকা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার অফিসগুলো।’

গোয়াদরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলা এবারই প্রথম নয়।

পাঁচ বছর আগে ২০১৯ সালে আরেকবার বড় ধরনের হামলার স্বীকার হয়েছিল শহরটি। সেটিরও দায় স্বীকার করেছিলো বিএলএ। বর্তমানে এখানে অনেক চীনা নাগরিক রয়েছেন যারা বন্দর নির্মাণে কাজ করছেন। কয়েক দশক ধরে চলা বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ সত্ত্বেও চীন খনিজসমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। নির্মাধীন গভীর বন্দরটি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরের (সিপিইসি)-এর মূল চাবিকাঠি, যা সড়ক ও জ্বালানি প্রকল্পগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে।
 এটি চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর অংশ।