২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। প্রতিবছর এ দিবসে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও ২০২৪ সালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে ফের ফিনল্যান্ডের নাম উঠে এসেছে।
খবর প্রকাশিত: ২০ মার্চ, ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
২০ মার্চ আন্তর্জাতিক সুখ দিবস। প্রতিবছর এ দিবসে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও ২০২৪ সালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।এ বছর বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে ফের ফিনল্যান্ডের নাম উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে এ বছরও তালিকার শীর্ষে রয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশগুলো। প্রথম পাঁচটি সুখী দেশের মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন।
২০২০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণ ফিরে পাওয়ার পর থেকে মানবিক বিপর্যয়ে জর্জরিত আফগানিস্তানের অবস্থান জরিপ করা ১৪৩টি দেশের নীচে রয়েছে। এদিকে প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি প্রথম ২০টি সুখী দেশের মধ্যে নেই।
গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১১৮ নম্বরে থাকলেও ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নেমে এসেছে ১২৯তম অবস্থানে। হিসাবে এ বছর বাংলাদেশ ১১ ধাপ পিছিয়ে গেছে। ২০২২ সালে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশর অবস্থান ছিল ৯৪তম স্থানে।এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে নেপাল রয়েছে ৯৩তম, পাকিস্তান ১০৮তম, মিয়ানমার ১১৮তম, ভারত ১২৬তম, শ্রীলঙ্কা ১২৮তম।
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গবেষক জেনিফার ডি পাওলা এএফপিকে বলেছেন, প্রকৃতির সঙ্গে ফিনল্যান্ডবাসীদের ঘনিষ্ঠ সংযোগ রয়েছে এবং স্বাস্থ্যকর কর্ম-জীবনের ভারসাম্যের কারণে তারা জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট। এ ছাড়া শক্তিশালী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা, কম দুর্নীতি এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
সুখী দেশের জরিপ করা হয় মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি, পাশাপাশি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনা করে। এ ক্ষেত্রে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়।
এই বছরের প্রতিবেদনে আরো দেখা গেছে, বিশ্বের অধিকাংশ অঞ্চলেই বয়স্কদের তুলনায় তরুণেরা বেশি সুখী। তবে সব জায়গায় নয়। যেমন, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে ৩০ বছরের কম বয়সীরা বয়স্কদের তুলনায় কম সুখী। আবার এর বিপরীতে মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে সকল বয়সীদের মধ্যে সুখের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিম ইউরোপেও এই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তবে ইউরোপ ছাড়া সব অঞ্চলে সুখ নিয়ে অসমতা বেড়েছে। যা নিয়ে লেখকরা বলছেন বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’।