NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সুদান: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি


খবর   প্রকাশিত:  ০৭ মার্চ, ২০২৪, ০৮:০৩ এএম

খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে সুদান: বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি

২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আগেও দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকতো। এখন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বুধবার সতর্ক করে বলেছে, সুদানে যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষুধা ও খাদ্য সংকটের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। প্রায় ১১ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে সুদানে। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া যুদ্ধে ধ্বংস হয়েছে অবকাঠামো এবং সুদানের অর্থনীতিকে পঙ্গু করেছে। 

 

সুদানে এই যুদ্ধের শুরু গত ১৫ এপ্রিল। ক্ষমতার দখল নিয়ে ২ বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের শুরু হয়। একদিকে সেনাবাহিনী (এসএএফ), অন্যদিকে আধা সামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।

তবে একসময় তারা মিত্র ছিল। ২০২১ সালে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সুদানের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তারা। কিন্তু আরএসএফকে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে একীভূত করা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে এবং তা যুদ্ধে রূপ নেয়।  

 

দুই জেনারেলের যুদ্ধে দেশটিকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকটে পরিণত করেছে।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন বলেছেন, এখন ‘লক্ষ লক্ষ জীবন এবং সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।’
তিনি সুদানের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘বিশ বছর আগে দারফুর ছিল বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা সংকট এবং এইজন্য বিশ্বের সাড়া জাগাতে সমাবেশও করেছিল। কিন্তু আজ সুদানের মানুষ সবকিছু ভুলে গেছে।’

 

আরএসএফ নিজেরাই জানজাউইদ মিলিশিয়ার বংশধর। যাকে সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দারফুরে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন।

বর্তমান যুদ্ধে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই আবাসিক এলাকায় নির্বিচারে গোলাবর্ষণ, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু এবং প্রয়োজনীয় সাহায্যে পাঠাতে বাধা ও ত্রাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচি বর্তমানে ক্ষুধার সম্মুখীন হওয়া ৯০ শতাংশের কাছে প্রবেশ করতে পারছে না। সুদানের জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিদিন এক বেলা খেতে পায়। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, ‘সুদান থেকে পালিয়ে গিয়ে যে ৬ লক্ষ মানুষ দক্ষিণ সুদানের জনাকীর্ণ ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে পরিবারগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থা থেকে আরো মারাত্বক ক্ষুধায় ভুগছে।’ তারা আরো জানিয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। সুদান জুড়ে ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হচ্ছে।