NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ২, ২০২৫ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

প্রথমবার গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র


খবর   প্রকাশিত:  ০৫ মার্চ, ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম

প্রথমবার গাজায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথমবার বিমান থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা ফেলেছে। তিনটি সামরিক বিমান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে ৩০ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেট ফেলা হয়েছে। জর্দানের বিমানবাহিনীর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছিলেন, এমন আরো সহায়তা তারা পাঠাবে গাজায়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ত্রাণ নিতে গিয়ে ১১২ জন নিহত হলে তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সহায়তার কাজে দ্রুতগতি আনবেন। সেদিন ইসরায়েলি হামলায় আরো ৭৬০ জন আহত হয় বলে জানায় হামাস।

 

বিমান থেকে এই সহায়তা এমন সময় দেওয়া হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলছেন, গাজার ছয় সপ্তাহের একটা যুদ্ধবিরতি আনার সব রকম প্রস্তুতি চলমান। বাইডেন প্রশাসনের এই কর্তা শনিবার জানান, ইসরায়েল একটা নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ‘প্রায় অনেকটা গ্রহণ করেছে’।

 

নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কর্তকর্তা বলেন, ‘গাজায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি আজ থেকেই শুরু হয়ে যাবে, যদি হামাস নির্দিষ্ট কিছু যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়...যেগুলো হলো অসুস্থ, আহত, বয়স্ক ও নারী বন্দি।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ড এক বিবৃতিতে জানায়, শনিবার সি-১৩০ পরিবহন বিমান আকাশ থেকে ৩৮ হাজারের বেশি খাবারের প্যাকেট ফেলেছে গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে। এতে আরো বলা হয়, ‘এই সহায়তাগুলো গাজায় আরো বেশি সাহায্য আনার একটা প্রক্রিয়া, যার সঙ্গে যোগ হবে সড়কপথে ও অন্যান্য পথে সহায়তা আনা।’

এর আগে অন্যান্য দেশ, যেমন- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মিসর ও জর্দান আকাশ থেকে গাজায় সহায়তা ফেলেছে, তবে যুক্তরাষ্ট্র এমনটা প্রথমবার করল।

প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ‘বৃহস্পতিবারের হৃদয়বিদারক ঘটনা গাজার মানবেতর পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে এখানে আরো বেশি মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর বিষয়টি সামনে এনেছে।’

 

তবে সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, এভাবে আকাশ থেকে সহায়তা ফেলা ত্রাণ বিতরণের একটি অকার্যকর উপায়। গাজা থেকে বাস্তুচ্যুত মেধাত তাহের সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানান, ত্রাণ সহায়তার এই পদ্ধতি প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তিনি বলেন, ‘এটা কি একটা স্কুলের জন্য যথেষ্ট হবে? ১০ হাজার লোক কি এতে চলতে পারবে? এভাবে প্যারাসুটের মাধ্যমে ত্রাণ ফেলার চেয়ে বরং সীমান্ত দিয়ে সহায়তা আসা ভালো।’

শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে তারা আরো বেশি মানুষ, যাদের সহায়তার দরকার সেখানে পৌঁছানোর জন্য বেশি করে ট্রাক ঢুকতে দেয় ও নতুন পথ খুলে দেয়।